ফর্মুলা ওয়ান রেসিংয়ে (Formula One) এবার নতুন করে শিরোনামে এসেছে ম্যাকলারেন দল। তাদের দুই তরুণ চালক ল্যান্ডো নরিস ও অস্কার পিয়াস্ট্রি, এই মৌসুমের শুরুতে বেশ ভালো ফল করেছেন এবং বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখাচ্ছেন।
মৌসুমের প্রথম দুটি রেসে, নরিস ও পিয়াস্ট্রি প্রত্যেকেই একটি করে জয়লাভ করেছেন।
ব্রিটিশ দল ম্যাকলারেন, তাদের প্রথম বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পাওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে, কারণ তাদের শেষ চ্যাম্পিয়ন ছিলেন লুইস হ্যামিল্টন, যিনি ২০০৮ সালে এই খেতাব জিতেছিলেন।
দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তাদের দুই চালকই একে অপরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সম্পূর্ণ স্বাধীন। নরিস অবশ্য স্বীকার করেছেন যে, দলের মধ্যে এই লড়াইয়ে কিছু উত্থান-পতন দেখা যেতে পারে।
বর্তমানে, নরিস তার সতীর্থ ম্যাক্স ভেরস্টাপেন থেকে ৮ পয়েন্ট এবং পিয়াস্ট্রি থেকে ১০ পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছেন।
আগামী সপ্তাহে জাপানে অনুষ্ঠিতব্য রেসের আগে, নরিসের এমন অবস্থানে থাকাটা দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নরিস জানিয়েছেন, “আমরা দুজনেই উত্তেজিত – সম্ভবত একইসঙ্গে কিছুটা নার্ভাসও। তবে আমরা প্রস্তুত।”
ম্যাকলারেনের দলীয় প্রধান আন্দ্রেয়া স্টেলা মনে করেন, দলের ভেতরের এই প্রতিযোগিতা বেশ ইতিবাচক। তিনি বলেন, “অস্কার এবং ল্যান্ডোর মধ্যে এমন বোঝাপড়া খুবই স্বাভাবিক। এমনটা হওয়াই আমাদের সৌভাগ্য।”
তিনি আরও যোগ করেন, “ফর্মুলা ওয়ানে সবকিছুই খুব দ্রুত বদলায়। তাই আমরা সবসময় শিখছি এবং উন্নতি করছি।”
অতীতে, মার্সিডিজে লুইস হ্যামিল্টন ও নিকো রোজবার্গের মধ্যেকার সম্পর্ক তিক্ত হয়ে উঠেছিল, যখন তারা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য লড়ছিলেন।
তবে, ম্যাকলারেন মনে করে নরিস এবং পিয়াস্ট্রির মধ্যে তেমন কিছু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাদের মধ্যেকার পারস্পরিক সহযোগিতা এবং শ্রদ্ধাবোধ দলের জন্য একটি বড় শক্তি হতে পারে।
এই মুহূর্তে, ম্যাকলারেন দল অন্যান্য দলগুলোর চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে। নরিস ও পিয়াস্ট্রির এই দ্বৈরথ তাদের সাফল্যের পথে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
এখন দেখার বিষয়, জাপানের পরবর্তী রেসে তারা কেমন করে এবং পুরো মৌসুমে তাদের পারফরম্যান্স কেমন থাকে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান