স্কটল্যান্ডের ফুটবল এখন এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের সম্মুখীন। নেশন্স লিগের প্লে-অফে গ্রিসের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে তারা প্রস্তুত। প্রথম লেগে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও, তাদের শীর্ষ লিগে নিজেদের স্থান ধরে রাখতে হলে এই ম্যাচ জিততেই হবে।
ইউরো ২০২৪-এ অপ্রত্যাশিত ফলাফলের পর, স্কটিশ কোচ স্টিভ ক্লার্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠছিল, তখন এই জয় যেন তার যোগ্য জবাব।
গ্রিসের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের আগে, স্কটিশ মিডফিল্ডার স্কট ম্যাকটমিনে মনে করেন, সমালোচকদের কঠোর হওয়া উচিত হয়নি। তিনি বলেন, “গ্রীষ্মকালে আমরা খুব সামান্য কিছু ভুলের শিকার হয়েছিলাম।
মিডিয়া সবসময় খারাপ দিকটাই দেখে, কিন্তু ভালো খেলার জন্য আমাদের আরও চেষ্টা করতে হবে।” ম্যাকটমিনে আরও যোগ করেন, কোচ ক্লার্ক স্কটিশ খেলোয়াড়দের মধ্যে এমন একটা মানসিকতা তৈরি করেছেন যে তারা স্পেন ও জার্মানির মতো দলের বিরুদ্ধেও ভালো খেলতে পারে।
তবে, এই মুহূর্তে ক্লার্কের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল দলের সঠিক নির্বাচন। প্রথম লেগের ম্যাচে নিষেধাজ্ঞার কারণে খেলতে পারেননি রাইয়ান ক্রিস্টি।
এখন প্রশ্ন উঠছে, তাকে কি আবার প্রথম একাদশে ফিরিয়ে আনা হবে? ক্লার্ক জানিয়েছেন, ক্রিস্টি বর্নমাউথের হয়ে সাধারণত একটু নিচে খেললেও, আক্রমণ তৈরিতে তার জুড়ি মেলা ভার।
অন্যদিকে, এই ম্যাচটি স্কটল্যান্ডের জন্য শুধু নেশন্স লিগের গুরুত্বের কারণেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে গ্রিসের বিরুদ্ধে তাদের খেলার আগে একটা গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হিসেবেও দেখা হচ্ছে।
কোচ ক্লার্ক বলেছেন, “আমি চাই এই ম্যাচে আমরা জিতি এবং প্রমাণ করি যে হ্যাম্পডেন আমাদের জন্য কতটা কঠিন একটা জায়গা।” অক্টোবর মাসে গ্রিস যখন এখানে খেলতে আসবে, তখন তাদের জন্য কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য।
তবে, গ্রিসকে হালকাভাবে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাদের আক্রমণভাগ খুবই শক্তিশালী এবং তারা দ্রুত প্রতি-আক্রমণে যেতে পারদর্শী।
ক্লার্ক মনে করেন, প্রতিপক্ষ তাদের স্বাভাবিক খেলাটাই খেলবে। তাই, স্কটল্যান্ডকে তাদের দুর্বলতাগুলো খুঁজে বের করে, সেগুলোর সুযোগ নিতে হবে।
সব মিলিয়ে, স্কটল্যান্ডের জন্য এই ম্যাচটি কেবল একটি জয় নয়, বরং তাদের ফুটবল ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
দেশের ফুটবলপ্রেমীরা তাকিয়ে আছে তাদের প্রিয় দলের সাফল্যের দিকে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান