ঘরের মায়েরা, বিশেষ করে ছোট বাচ্চা বা শিশুদের দেখাশোনা করেন যাঁরা, তাঁদের নিজেদের জন্য একটু সময় বের করা বেশ কঠিন। সংসারের নানা কাজের ফাঁকে নিজেদের দিকে তাকানোর ফুরসত মেলা ভার।
তবে সম্প্রতি, এমন একজন মা তাঁর দুই বছর বয়সী মেয়ের বাবাকে সঙ্গে নিয়ে সময় কাটানোর জন্য মেয়েকে রাজি করিয়েছেন, যা সামাজিক মাধ্যমে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
জেস শার্প নামের এই মা, যিনি মূলত ঘরে থেকেই মেয়ের দেখাশোনা করেন, তিনি জানান, প্রতিদিনের এই ব্যস্ততার মাঝেও কয়েক মিনিটের বিশ্রাম তাঁকে নতুন করে কাজ করার উৎসাহ যোগায়। বই পড়া, রান্না করা অথবা বাগান করা—ছোট্ট এই কাজগুলোও তাঁর কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
জেস বলেন, “নিজের জন্য সময় বের করাটা কোনো বিলাসিতা নয়, বরং জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। মা হওয়ার পর থেকে আমার জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন এসেছে।
আগে, আমি শুধু নিজের কথাই ভাবতাম এবং যা খুশি তাই করতাম। কিন্তু এখন, ঘুম, লম্বা গোসল—এই ছোট জিনিসগুলোরও আলাদা কদর করি।”
নিজের জন্য সময় বের করতে পারার ফলে তিনি আরও সৃজনশীল, মনোযোগী এবং কর্মঠ হন। তিনি মনে করেন, মায়েদের নিজেদের ভালো থাকার দিকেও খেয়াল রাখা উচিত, কারণ “আপনি যদি ভালো না থাকেন, তবে পরিবারের ভালো রাখতে পারবেন না।”
তিনি আরও যোগ করেন, “নিজের যত্ন নেওয়া মানেই স্বার্থপরতা নয়, বরং এটি মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরি।”
সৌভাগ্যবশত, জেসের স্বামী তাঁর এই “নিজের জন্য সময়” এর গুরুত্ব বোঝেন। জেস বলেন, তাঁর স্বামী সবসময় তাঁকে সমর্থন করেন এবং তাঁর বিশ্রামের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন।
এমনকি অফিসের ব্যস্ততা সত্ত্বেও, তিনি খেয়াল রাখেন জেস যেন একটু বিশ্রাম নিতে পারেন এবং মেয়েকে সময় দিতে পারেন।
শিশুদের বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের যৌথ প্রচেষ্টা প্রয়োজন। জেস ও তাঁর স্বামী তাঁদের মেয়েকে ছোটবেলা থেকেই নিজের শরীরের কথা শোনার শিক্ষা দিচ্ছেন।
যেমন, যখন তারা ক্লান্ত হয়, তখন বিশ্রাম নেয়, এবং যখন ক্ষুধার্ত হয়, তখন খায়। জেস বলেন, “আমি চাই আমার মেয়ে অন্যদের প্রতি যত্নশীল হওয়ার পাশাপাশি নিজের যত্ন নেওয়াটাও শিখুক।”
জেস এবং তাঁর স্বামী তাঁদের মেয়েকে তার অনুভূতি প্রকাশ করতে উৎসাহিত করেন। তাঁদের মতে, তাদের মেয়ে একজন পরিণত মনের মানুষ।
হয়তো সে সব কথা এখনো বুঝতে পারে না, তবে মায়ের কণ্ঠস্বর এবং অনুভূতির গভীরতা সে ঠিকই অনুভব করতে পারে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিওটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে, কারণ অনেক মা-বাবাই মনে করেন, ব্যস্ততার মাঝে নিজেদের জন্য সময় বের করাটা জরুরি।
তথ্য সূত্র: পিপল