শিরোনাম: হাম: কিভাবে শিশুদের রক্ষা করবেন – বাংলাদেশে সচেতনতা জরুরি
বাংলাদেশেও হাম একটি পরিচিত রোগ, যা শিশুদের জন্য মারাত্মক হতে পারে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় হামের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায়, আমাদের দেশের অভিভাবকদের মাঝেও সচেতনতা বাড়ানো জরুরি।
এই আর্টিকেলে হাম রোগ, এর লক্ষণ, প্রতিরোধের উপায় এবং ভ্যাকসিন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
হাম একটি অতি সংক্রামক রোগ, যা ‘মিজলস ভাইরাস’-এর কারণে হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি, কাশি বা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ায়।
হাম হলে প্রথমে জ্বর আসে, নাক দিয়ে পানি পড়ে, কাশি হয় এবং চোখ লাল হয়ে যায়। এর কয়েক দিন পর সারা শরীরে লাল ফুসকুড়ি দেখা দেয়।
চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, হাম প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো এমএমআর (MMR) ভ্যাকসিন নেওয়া।
এই ভ্যাকসিন হাম, মাম্পস ও রুবেলা—এই তিনটি রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়। শিশুদের ১২ থেকে ১৫ মাস বয়সের মধ্যে প্রথম ডোজ এবং ৪ থেকে ৬ বছর বয়সে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়।
দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিলে হাম থেকে ৯৭% পর্যন্ত সুরক্ষা পাওয়া যায়।
যদি কোনো শিশুর হাম হয়, তবে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
হামের তেমন কোনো বিশেষ চিকিৎসা নেই, তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী উপসর্গগুলো কমানোর চেষ্টা করা হয়। হাম হলে শিশুদের কান ও ফুসফুসে সংক্রমণ, এমনকি মস্তিষ্কে প্রদাহ (এনসেফালাইটিস (encephalitis)) হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে এটি মারাত্মক হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সম্প্রতি একটি কনসার্টে যাওয়া কিছু ব্যক্তির মাধ্যমে হামে আক্রান্ত হওয়ার খবর জানিয়েছেন। যদিও বাংলাদেশে এখনো পর্যন্ত হামের বড় ধরনের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়নি, তবুও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
বাংলাদেশে শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি নিয়মিতভাবে পরিচালিত হয়।
সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে বিনামূল্যে এমএমআর ভ্যাকসিন পাওয়া যায়। আপনার সন্তানের হাম থেকে সুরক্ষার জন্য, সময়মতো ভ্যাকসিন দিন এবং স্বাস্থ্যকর্মীর পরামর্শ নিন।
আপনার এলাকার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করে ভ্যাকসিনের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারেন।
মনে রাখবেন, হাম প্রতিরোধে সচেতনতাই সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।
শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায়, এই বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস