বইয়ের মলাটে লুকানো ইতিহাস! মধ্যযুগীয় পান্ডুলিপিতে চাঞ্চল্যকর আবিষ্কার

আশ্চর্য আবিষ্কার: মধ্যযুগীয় পান্ডুলিপি থেকে টাইর‍্যানোসরাস, বিজ্ঞান জগতে চাঞ্চল্য।

বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন আবিষ্কারের মাধ্যমে আমাদের জ্ঞানভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করছেন। সম্প্রতি, বিশ্বজুড়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও আবিষ্কারের খবর পাওয়া গেছে, যা কৌতূহলী মানুষের মনে আগ্রহ জাগিয়েছে।

আসুন, সেই খবরগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক।

প্রথমে আসা যাক, ইতিহাসের গভীরে লুকিয়ে থাকা এক বিস্ময়কর আবিষ্কারের কথায়। যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারকর্মীরা ষোড়শ শতাব্দীর একটি নথিপত্রের খাতা পরীক্ষা করার সময় এর মলাটের ভেতর খুঁজে পান ত্রয়োদশ শতাব্দীর একটি মধ্যযুগীয় পান্ডুলিপির অংশবিশেষ।

‘স্যুট ভালগেট দু মার্লিন’ নামের এই দুর্লভ পাণ্ডুলিপিটিতে কিং আর্থারের শাসনকালের শুরুর দিকে জাদুকর মার্লিনের কিং আর্থারকে সাহায্য করার গল্প বর্ণিত হয়েছে।

কাগজের এই মূল্যবান অংশগুলো কিভাবে বইয়ের মলাট হিসেবে ব্যবহৃত হলো, তা এক রহস্য।

এরপর আসা যাক, ডাইনোসরদের রাজা, টাইর‍্যানোসরাস রেক্সের (T-Rex) উৎপত্তির সন্ধানে।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, প্রায় ৭০ মিলিয়ন বছর আগে টাইর‍্যানোসরাসের পূর্বপুরুষ এশিয়া থেকে একটি স্থলপথ ধরে উত্তর আমেরিকায় এসেছিল।

গবেষণায় আরও দেখা গেছে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা হ্রাসের সঙ্গে সঙ্গে টাইর‍্যানোসরাসের আকার দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছিল।

এমনকি, ৯০ মিলিয়ন বছর আগে অন্য মাংসাশী ডাইনোসর প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার পরে টি-রেক্স খাদ্যশৃঙ্খলের শীর্ষে পৌঁছে যায়।

সমুদ্রের গভীরে ডুব দিলে দেখা যায় প্রকৃতির অন্য রূপ।

দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু দ্বীপের ‘হাইনিও’ নামের ডুবুরি নারীরা কোনো শ্বাসযন্ত্র ছাড়াই সমুদ্রের তলদেশ থেকে খাবার সংগ্রহ করেন।

নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, তারা দিনে বহুবার প্রায় ১৮ মিটার গভীর পর্যন্ত ডুব দিতে সক্ষম।

তাদের হৃদস্পন্দন অন্যদের তুলনায় ধীর হয় এবং তাদের শরীরে এমন কিছু জিনগত বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা গভীর সমুদ্রে ডুব দেওয়ার চাপ সহ্য করতে সাহায্য করে।

এমনকি, গর্ভবতী হাইনিও নারীদের শরীরে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য দেখা যায় যা তাদের গর্ভস্থ সন্তানের সুরক্ষায় সহায়ক।

বিজ্ঞানীরা একটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরির সম্ভাব্য অগ্নুৎপাতের ওপর নজর রাখছেন, যা যে কোনো সময় ঘটতে পারে।

প্রশান্ত ও হুয়ান ডি ফুকা টেকটনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত ‘অ্যাক্সিয়াল সিমাউন্ট’ নামের এই আগ্নেয়গিরিটিতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগমা জমা হচ্ছে, যার কারণে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হচ্ছে।

বিজ্ঞানীরা এই অগ্নুৎপাতের লাইভ সম্প্রচার করার পরিকল্পনা করছেন।

তবে, এই প্রতিকূল পরিবেশেও কিছু সামুদ্রিক প্রাণী টিকে থাকে, যা সত্যিই বিস্ময়কর।

এছাড়াও, সম্প্রতি ডেভিড অ্যাটেনবরো-র নতুন একটি প্রামাণ্যচিত্র মুক্তি পেয়েছে, যার নাম ‘ওশান’।

এতে সমুদ্রের বিভিন্ন প্রজাতির জীবন এবং তাদের প্রতি পরিবেশের হুমকিগুলো তুলে ধরা হয়েছে।

অন্যদিকে, আন্দিজ পর্বতমালার ‘উতুরুনকু’ নামের একটি ‘জম্বি’ আগ্নেয়গিরির সম্ভাব্য সক্রিয়তা নিয়েও বিজ্ঞানীরা সতর্ক রয়েছেন।

২৫০,০০০ বছরের বেশি সময় ধরে এটি অগ্নুৎপাত ঘটায়নি।

তবে সম্প্রতি এর আশেপাশে গ্যাস নির্গমনের মতো কিছু লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।

এছাড়াও, সোভিয়েত ইউনিয়নের একটি মহাকাশযান, ‘কসমস ৪৮২’, ১৯৭২ সালে শুক্র গ্রহে যাওয়ার পথে বিকল হয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসে।

ধারণা করা হচ্ছে, এটি পৃথিবীর বুকে বিধ্বস্ত হয়েছে।

অন্যদিকে, প্রাচীন ভেসুভিয়াস আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতে ধ্বংস হয়ে যাওয়া একটি প্রায় ২,০০০ বছরের পুরনো স্ক্রল পাঠোদ্ধার করা হয়েছে।

তথ্যসূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *