নিরামিষ খাবারের প্রতি আকর্ষণ, নতুন দিগন্তের উন্মোচন: খাদ্য লেখক মীরা সোঢা’র অভিজ্ঞতা।
খাদ্য জগৎ সবসময়ই পরিবর্তনশীল, আর সেই পরিবর্তনের সাক্ষী থাকেন খাদ্য লেখকেরা। সম্প্রতি, ব্রিটিশ-ভারতীয় খাদ্য লেখক মীরা সোঢা তাঁর খাদ্য বিষয়ক লেখায় এক নতুন পরিবর্তনের কথা জানিয়েছেন।
নিরামিষ খাবারের প্রতি তাঁর আগ্রহ এবং কিভাবে তিনি এই পথে আরও এগিয়ে যাচ্ছেন, সেই গল্প তুলে ধরেছেন তিনি।
সোঢা মূলত উদ্ভিজ্জ খাবার পছন্দ করেন। তাঁর খাদ্যাভ্যাস, গুজরাটি রন্ধনশৈলী এবং লিঙ্কনশায়ারের খাদ্য উৎপাদনের একটি মিশ্রণ।
তিনি সবজিকে খাদ্য তালিকার কেন্দ্রবিন্দুতে রাখতে পছন্দ করেন। তবে, মাঝে মাঝে তিনি স্বামী এবং পরিবারের সঙ্গে মাছের কারি অথবা ডিমের অমলেটও উপভোগ করেন।
তাঁর লেখা তিনটি জনপ্রিয় রান্নার বই – ‘ফ্রেশ ইন্ডিয়া’, ‘ইস্ট’ এবং ‘ডিনার’ – তেও এই খাদ্যাভ্যাসের প্রতিফলন দেখা যায়।
নিজে নিরামিষাশী না হয়েও, সোঢা দীর্ঘদিন ধরে *The Guardian*-এর জন্য নিরামিষ রেসিপি লিখছেন। তাঁর মতে, আগেকার দিনের নিরামিষ খাবারগুলো তেমন আকর্ষণীয় ছিল না।
কিন্তু সময়ের সাথে সাথে পরিস্থিতি পাল্টেছে। এখন অনেক নামী-দামী শেফ দারুণ সব নিরামিষ পদ তৈরি করছেন।
সুপারমার্কেটগুলোতেও এখন ভেগান খাবারের আলাদা বিভাগ রয়েছে, এমনকি ফাস্ট ফুড চেইনগুলোতেও নিরামিষ খাবারের বিকল্প পাওয়া যায়।
সোঢা মনে করেন, নিরামিষ খাবার এখন আর সীমাবদ্ধ নয়। বরং, এটি রান্নার নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।
তিনি জানান, নিরামিষ খাবারের সীমাবদ্ধতা তাঁকে আরও সৃজনশীল হতে সাহায্য করেছে। বিভিন্ন সবজি রান্নার নতুন কৌশল শিখেছেন তিনি, যা তাঁর রান্নার স্বাদ আরও বাড়িয়েছে।
এর ফলে, তিনি একজন ভালো রাঁধুনি হয়ে উঠেছেন এবং খাদ্য সম্পর্কে আরও সচেতন হয়েছেন।
সোঢা আরও উল্লেখ করেন, তাঁর পাঠকদের একটি বড় অংশ ‘মিট-ফ্রি মান্ডে’ অনুসরণ করেন অথবা আংশিকভাবে নিরামিষ খান। তাঁর লেখায় তাঁরা উৎসাহ দেখিয়েছেন।
পরিবেশ রক্ষার গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় খাদ্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে সচেতন হওয়া জরুরি।
সোঢা মনে করেন, যদি আমরা সবাই মিলে নিয়মিতভাবে মাংসের ব্যবহার কম করি, তবে এটি একটি বড় পরিবর্তন আনবে।
তিনি তাঁর খাদ্য বিষয়ক কলামে নিরামিষ রেসিপি লেখা চালিয়ে যাবেন এবং তাঁর খাদ্য সবসময় স্বাদ, সবজি ও আনন্দের সাথে জড়িত থাকবে।
নতুন উপাদানের সঙ্গে রান্না করার সুযোগ পেয়ে তিনি আনন্দিত।
তথ্য সূত্র: The Guardian