বিয়ের ৭ বছর: হ্যারিকে ভালোবাসায় মোড়া মেগান, দিলেন বিশেষ চমক!

সাত বছর! বিবাহিত জীবন, ভালোবাসার গল্প— মেঘান মার্কেল আর প্রিন্স হ্যারির সম্পর্কের এই দীর্ঘ পথচলার সাক্ষী তাঁদের পরিবার এবং ভক্তরা। ১৯শে মে, তাঁদের বিবাহবার্ষিকীতে ডিউক ও ডাচেস অফ সাসেক্স এক বিশেষ বার্তা দিয়েছেন, যা সকলের মন জয় করেছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত পোস্টে ছিল তাঁদের একসঙ্গে কাটানো কিছু মুহূর্তের ছবি। এর মধ্যে ছিল আগে দেখা যায়নি এমন কিছু ছবিও। ছবিগুলোতে প্রিন্স হ্যারি ও মেঘান মার্কেলকে ভালোবাসার মুহূর্তে দেখা গেছে।

রাজকীয় এই দম্পতির দুই সন্তান, প্রিন্স আর্চি ও প্রিন্সেস লিলিবেটের ছবিও ছিল সেখানে। এছাড়া, তাঁদের বিবাহ অনুষ্ঠানের একটি ছবিও পোস্ট করা হয়।

২০১৮ সালের ১৯শে মে, উইন্ডসর ক্যাসেলের সেন্ট জর্জেস চ্যাপেলে এক বর্ণাঢ্য আয়োজনে চার হাত এক হয় হ্যারি ও মেঘানের। এই অনুষ্ঠানে বিশ্বজুড়ে প্রায় ১৯০ কোটি মানুষ টিভিতে চোখ রেখেছিল। এরপর থেকে তাঁদের ভালোবাসার গল্প যেন আরও রঙিন হয়ে উঠেছে।

হ্যারিকে ডিউক অফ সাসেক্স উপাধি দেন তাঁর ঠাকুরমা, প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। বিয়ের পর মেঘানও পান ডাচেস অফ সাসেক্স খেতাব। বিয়ের আগে মেঘান একজন অভিনেত্রী ছিলেন। রাজপরিবারে যোগ দেওয়ার পর তিনি হ্যারির সঙ্গে বিভিন্ন জনহিতকর কাজে সক্রিয় হন।

বিবাহবার্ষিকীর কয়েক সপ্তাহ আগে, ২০১৯ সালের মে মাসে তাঁদের প্রথম সন্তান আর্চির জন্ম হয়। এরপর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে হ্যারি ও মেঘান রাজকীয় দায়িত্ব থেকে সরে আসার ঘোষণা করেন। তাঁরা যুক্তরাজ্য ত্যাগ করে ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাস শুরু করেন।

বর্তমানে তাঁরা সান্টা বারাবার মন্টিসিটোতে একটি বাড়িতে থাকেন। ২০২১ সালের জুন মাসে তাঁদের দ্বিতীয় সন্তান লিলিবেটের জন্ম হয়।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মেঘান জানিয়েছেন, সাসেক্স নামটি তাঁদের পরিবারের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, “আর্চি, লিলি, হ্যারি এবং আমার— আমাদের সবার নামের সঙ্গে সাসেক্স নামটি জুড়ে রয়েছে। আমি বুঝি, সন্তানদের জন্মের পর এই নামের গুরুত্ব আমার কাছে আরও বেড়েছে।”

মেগান আরও বলেন, “আমি ভালোবাসি যে সাসেক্স নামটি আর্চি, লিলি, আমরা সবাই একসঙ্গে বহন করি। আমার কাছে এটা অনেক অর্থবহ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যখন শিশুরা বড় হবে, তখন তারা জানতে চাইবে, কীভাবে মা-বাবার সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ হয়েছিল। আমাদের ভালোবাসার গল্পের একটি বড় অংশ হলো এই সাসেক্স নামটি।”

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *