মেগান মার্কেল, যিনি ডাচেস অফ সাসেক্স হিসেবে পরিচিত, সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক শহরে এক অপ্রত্যাশিত সফরে গিয়েছিলেন। এই সময়কালে, তাঁর স্বামী, প্রিন্স হ্যারি, ইউক্রেনে গিয়ে যুদ্ধাহতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনে ১০ই এপ্রিল তারিখে মেগানকে দেখা যায়, যেখানে তিনি একটি জনপ্রিয় রেস্তোরাঁ, পোলো বারে রাতের খাবার খান। এরপর তিনি ম্যাজেস্টিক থিয়েটারে যান, যেখানে ব্রডওয়ের বিখ্যাত নাটক ‘জিপসি’ মঞ্চস্থ হচ্ছিল।
এই নাটকে অভিনয় করেছেন টনি পুরস্কার বিজয়ী অড্রা ম্যাকডোনাল্ড। উল্লেখ্য, অড্রা ম্যাকডোনাল্ড অতীতে মেগান মার্কেলকে জীবিতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রশংসিত ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন।
মেগান মার্কেলের এই নিউ ইয়র্ক সফরটি ছিল অপ্রত্যাশিত। এর আগে, তিনি তাঁর নতুন নেটফ্লিক্স শো, ‘উইথ লাভ, মেগান’-এর প্রিমিয়ার উপলক্ষেও এখানে এসেছিলেন।
এমনকি, তিনি জনপ্রিয় টিভি শো ‘দ্য ড্রু ব্যারিমোর শো’-এর একটি পর্বে অংশ নিয়েছিলেন।
অন্যদিকে, প্রিন্স হ্যারি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের কাছে অবস্থিত একটি বিশেষ কেন্দ্রে যান, যেখানে যুদ্ধাহত সৈন্যদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন করা হয়।
এই কেন্দ্রটি ‘সুপারহিউম্যান্স সেন্টার’ নামে পরিচিত। প্রিন্স হ্যারি সেখানে আহত সৈনিক ও সাধারণ নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করেন।
তিনি এই কেন্দ্রে আসা সৈন্যদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়েও খোঁজ খবর নেন।
প্রিন্স হ্যারি এই সফরের আগে যুক্তরাজ্যে ছিলেন, যেখানে তিনি তাঁর নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন। ২০২০ সালে রাজকীয় দায়িত্ব থেকে সরে আসার পর হ্যারি ও মেগান তাদের পুলিশি নিরাপত্তা হারান।
মেগান মার্কেল একসময় কানাডার টরন্টোতে বসবাস করতেন, যেখানে তিনি ‘স্যুটস’ (Suits) নামক একটি টেলিভিশন সিরিজে অভিনয় করতেন।
নিউ ইয়র্ক শহরের সঙ্গেও তাঁর বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে, কারণ অতীতে তিনি এখানে অনেকবার এসেছেন, এমনকি তাঁদের ছেলে প্রিন্স আর্চির বেবি শাওয়ারও এখানে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
তথ্য সূত্র: পিপল