মেলানিয়া ট্রাম্প: বারবারা বুশের প্রতি শ্রদ্ধা, যা সকলকে নাড়া দিয়ে গেল!

বারবারা বুশকে উৎসর্গীকৃত নতুন ডাকটিকিট উন্মোচন করলেন মেলানিয়া ট্রাম্প।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি বারবারা বুশের প্রতি সম্মান জানিয়ে একটি নতুন ডাকটিকিট উন্মোচন করা হলো। হোয়াইট হাউজের ইস্ট রুমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ডাকটিকিট উন্মোচন করেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প।

অনুষ্ঠানে প্রয়াত বারবারা বুশের জীবন ও কর্মের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠানে মেলানিয়া ট্রাম্প বারবারা বুশের নারী অধিকার, সাক্ষরতা এবং সমাজের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অবদানের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “বারবারা বুশ শুধু একজন ফার্স্ট লেডি ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন অনুপ্রেরণা। তিনি নারীদের ক্ষমতায়ন করেছেন, এইডস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করেছেন এবং সমকামীদের অধিকারের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন।”

অনুষ্ঠানে বারবারা বুশের পরিবারের সদস্য ও বন্ধু-বান্ধবরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁর কন্যা ডোরো বুশ কোচ আবেগপূর্ণ একটি বক্তৃতা দেন।

এছাড়াও, উপস্থিত ছিলেন জর্জ ও বারবারা বুশ ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যালিস ইয়েটস এবং ভারপ্রাপ্ত পোস্টমাস্টার জেনারেল ডগ তুলিনো।

তবে, এই অনুষ্ঠানে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ও তাঁর স্ত্রী লরা বুশকে দেখা যায়নি। এমনকি, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন।

বারবারা বুশ ছিলেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের স্ত্রী। তিনি তাঁর স্বামীর ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়ে দেশের মানুষের কাছে সুপরিচিত ছিলেন।

তিনি সবসময় সাধারণ মানুষের কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করতেন। বিশেষ করে শিশুদের শিক্ষা ও নারী অধিকারের প্রসারে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।

১৯৯০ সালে ওয়েলেসলি কলেজে এক বক্তৃতায় তিনি নারী নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছিলেন। এমনকি, তিনি এমন এক দিনের স্বপ্ন দেখেছিলেন, যেদিন একজন নারী আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হবেন।

তাঁর সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে পরবর্তীতে অনেক নারী এগিয়ে এসেছেন। বর্তমান ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনও বারবারা বুশের কাজের প্রশংসা করেছেন এবং তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েছেন।

বারবারা বুশ ২০১৮ সালের ১৭ এপ্রিল মারা যান। তাঁর মৃত্যুর কয়েক মাস পরেই তাঁর স্বামী জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশও ইহলোক ত্যাগ করেন।

তাঁদের রেখে যাওয়া রাজনৈতিক ও সামাজিক অবদান আজও স্মরণীয় হয়ে আছে। তাঁদের ছয় সন্তান, সতেরো জন নাতি-নাতনি এবং অসংখ্য দৌহিত্র-দৌহিত্রী রয়েছে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *