বারন ট্রাম্পকে নিয়ে উড়ো খবর! মুখ খুললেন মেলানিয়া, তোলপাড়!

বারন ট্রাম্পের হার্ভার্ডে ভর্তি সংক্রান্ত গুজব খারিজ করলেন মেলানিয়া ট্রাম্প।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প তার ছেলে ব্যারন ট্রাম্পের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সংক্রান্ত একটি গুজবকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন। সম্প্রতি অনলাইনে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া একটি গুজবে বলা হয়েছিল, ব্যারনকে হার্ভার্ডে ভর্তি হতে না দেওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন সম্ভবত প্রতিশোধ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়টির ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।

মেলানিয়ার মুখপাত্র জানিয়েছেন, ব্যারনের হার্ভার্ডে ভর্তির জন্য আবেদন করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। মুখপাত্র আরও জানান, “এই সংক্রান্ত যে কোনো দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।” বর্তমানে, ১৯ বছর বয়সী ব্যারন নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে (New York University) পড়াশোনা করছেন।

এদিকে, এই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেডারেল তহবিল কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এই সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়টি ডাইভার্সিটি, ইক্যুইটি ও ইনক্লুশন (Diversity, Equity, and Inclusion – DEI) নীতি, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তি এবং অন্যান্য কিছু বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে একমত হতে রাজি হয়নি। ডিইআই নীতি হলো সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের জন্য সমান সুযোগ তৈরি করার একটি প্রচেষ্টা।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ফেডারেল তহবিল কমানোর ফলে হার্ভার্ড প্রায় ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বর্তমানে বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ১১০০ কোটি টাকার সমান) হারাতে পারে। শুধু তাই নয়, গত এক মাসে ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডের সঙ্গে প্রায় ৩.২ বিলিয়ন ডলারের অনুদান এবং চুক্তি স্থগিত করেছে।

এছাড়াও, ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়া সীমিত করারও চেষ্টা করেছিল। এর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়টি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল এবং আদালত সাময়িকভাবে প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের ওপর স্থগিতাদেশ দেন।

অন্যদিকে, হার্ভার্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পরিচিত কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি (Columbia University) প্রশাসনের কিছু শর্ত মেনে নিতে রাজি হয়েছিল। এর ফলে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক তাদের একটি বিভাগে নতুন সরকারি নজরদারির সুযোগ তৈরি হয়।

ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা মূলত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অ্যান্টি-সেমিটিজম (ইহুদি বিদ্বেষ) এবং নারী ক্রীড়াবিদদের প্রতি বৈষম্য দূর করতে চাইছে। তবে সমালোচকরা বলছেন, এই পদক্ষেপগুলো আসলে ফিলিস্তিনি এবং ট্রান্সজেন্ডার ক্রীড়াবিদদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিশেষ করে আইভি লীগ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে (যেমন: হার্ভার্ড, কলম্বিয়া) ভর্তির জন্য সারা বিশ্ব থেকে, বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকেও, শিক্ষার্থীরা আগ্রহী হন। এমন পরিস্থিতিতে, এই ধরনের ঘটনা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করতে পারে।

তথ্য সূত্র: পিপলস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *