মেলিন্ডা গেটসের চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি: যেভাবে বিশ্বাসের সংকট জয় করলেন!

মেলিন্ডা গেটস: ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বী হয়েও গর্ভপাতের পক্ষে, নিজের বিশ্বাসের ব্যাখ্যা

বিশ্বজুড়ে নারীদের অধিকার ও স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস সম্প্রতি জানিয়েছেন কিভাবে তিনি ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বী হয়েও গর্ভপাতের ধারণাকে সমর্থন করেন।

এই বিষয়ে নিজের বিশ্বাস ও উপলব্ধির কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, কীভাবে দরিদ্র দেশগুলোতে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা তাকে এই বিষয়ে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে।

গত ১৭ই এপ্রিল ‘দ্য জেমি কার্ন লিমা শো’-তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেলিন্ডা গেটস বলেন, “আমার মনে হয়েছিল, যেন বিশ্বাসের একটি সংকট তৈরি হয়েছে।” তিনি ব্যাখ্যা করেন, ফাউন্ডেশনের হয়ে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে কাজ করার সময় সেখানকার নারীদের জীবনযাত্রা কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয় তার।

বিশেষ করে, পরিবার পরিকল্পনা ও জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির অভাব কীভাবে তাদের জীবনকে প্রভাবিত করে, তা তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন।

মেলিন্ডা গেটস বলেন, “আমি দেখেছি, অনেক নারী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির অভাবে অল্প সময়ের ব্যবধানে সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন। এমনকি, অনেক সময় তারা মারাও যান।”

এই ঘটনাগুলো তার মনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল।

তিনি উপলব্ধি করেন, জীবন কতটা মূল্যবান।

প্রতিটি শিশুর জন্মেরও রয়েছে নিজস্ব সৌন্দর্য। কিন্তু ক্যাথলিক চার্চের কিছু নিয়ম-কানুনের কারণে নারীরা জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

এরপর তিনি বিষয়টি নিয়ে আরও গভীরে যান।

নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু স্কলারের সঙ্গে কথা বলেন এবং রিচার্ড রোর-এর মতো উদারপন্থী যাজকদের লেখা ও বক্তব্য পাঠ করেন।

মেলিন্ডা গেটস বলেন, “আমি বুঝতে পারলাম, আমাকে কিছু বিষয় নতুন করে শিখতে হবে।

কারণ, আমি এই বিষয়টির সঙ্গে নিজেকে মেলাতে পারছিলাম না।”

মেলিন্ডার মতে, তিনি জীবনের মর্যাদা ও গুরুত্বে বিশ্বাস করেন।

কিন্তু নারীদের এই অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।

এই উপলব্ধি থেকেই তিনি গর্ভপাতের ধারণাকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নেন।

মেলিন্ডা গেটস আরও বলেন, এই পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাওয়াটা সহজ ছিল না।

“অনেক সাহস জুগিয়ে আমাকে এগিয়ে যেতে হয়েছে। কিন্তু আমি মনে করি, আমি সঠিক কাজটি করেছি।

নারীদের কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছি এবং তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি।”

মেলিন্ডা গেটস যোগ করেন, ফাউন্ডেশনের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার কারণে, এই বিষয়ে কথা বলা এবং বিশ্বজুড়ে পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে তার একটি বিশেষ দায়িত্ব ছিল।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *