গ্যাস-এর দামে হাসি! মেমোরিয়াল ডে-তে কি বিরাট সুখবর?

শিরোনাম: আমেরিকার বাজারে পেট্রোলের দাম কমছে, স্বস্তি ভ্রমণকারীদের

আসন্ন মেমোরিয়াল ডে উপলক্ষে, আমেরিকার রাস্তায় গাড়ি নিয়ে ভ্রমণ করতে যাওয়া প্রায় চার কোটি মানুষের জন্য সুখবর অপেক্ষা করছে।

জ্বালানি সাশ্রয় বিষয়ক সংস্থা গ্যাসবাডি’র তথ্য অনুযায়ী, এবারের মেমোরিয়াল ডে-তে প্রতি গ্যালন পেট্রোলের গড় দাম হতে পারে ৩.০৮ ডলার।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, গ্রীষ্মের শুরু হিসেবে পরিচিত এই সময়ে, ২০২১ সালের পর এটিই হবে সবচেয়ে কম দাম। গত বছর এই সময়ে দাম ছিল ৩.৫৮ ডলার, এবং তার আগের বছর, ২০২২ সালে ছিল ৪.৬০ ডলার।

এই তথ্যগুলো মার্কিন অর্থনীতিতে জ্বালানির তুলনামূলকভাবে কম দামের বিষয়টি তুলে ধরে, যা বাণিজ্য যুদ্ধ এবং অর্থনৈতিক মন্দা উদ্বেগের মাঝেও একটি উজ্জ্বল দিক হিসেবে দেখা যাচ্ছে।

গ্যাসবাডির পেট্রোলিয়াম বিশ্লেষণ বিভাগের প্রধান প্যাট্রিক দেহান সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “এটা ভোক্তাদের জন্য একটি জয়।

পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে, গ্রীষ্মের শেষে প্রতি গ্যালন পেট্রোলের দাম ৩ ডলারের নিচেও নামতে পারে।”

মেমোরিয়াল ডে হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ছুটির দিন, যা দেশের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের উৎসর্গীকৃত।

এই সময়টাতে বহু আমেরিকান তাদের পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে এবং বিভিন্ন গন্তব্যে ভ্রমণে বের হন।

সাধারণত, এই সময়ে রাস্তার যানজটও বাড়ে।

আমেরিকান অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশন (এএএ) এর পূর্বাভাস অনুযায়ী, প্রায় ৩ কোটি ৯৪ লক্ষ মানুষ এই মেমোরিয়াল ডে উইকেন্ডে গাড়ি নিয়ে ভ্রমণ করবেন, যা গত বছরের তুলনায় ৩% বেশি এবং ২০১৯ সালের তুলনায় ৪.৬% বেশি।

পেট্রোলের দাম কমে যাওয়া ভোক্তাদের জীবনযাত্রার ব্যয় কমাতে সাহায্য করে, যা ভোটারদের মধ্যে একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

বিশ্লেষকদের মতে, কম দামের পেট্রোল ভোক্তাদের কাছে অনেকটা কর কমানোর মতো।

তবে, জ্বালানি তেলের দাম কমার পেছনে কিছু কারণ রয়েছে, যার মধ্যে একটি হলো বিশ্ব অর্থনীতির দুর্বলতা নিয়ে উদ্বেগ।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য শুল্ক বিশ্ব অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এর ফলে তেলের দাম কমেছে।

অন্যদিকে, সৌদি আরব এবং ওপেক-এর তেল উৎপাদন বাড়ানোও দাম কমার একটি কারণ।

ট্রাম্প প্রশাসনের সময় সৌদি আরবকে তেল উৎপাদন বাড়ানোর জন্য উৎসাহিত করা হয়েছিল।

তবে, অপরিশোধিত তেলের দাম কমলেও, পেট্রোলের দাম সেই তুলনায় সেভাবে কমেনি।

এর কারণ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে শোধনাগার (রিফাইনারি) বন্ধ হয়ে যাওয়াকে দায়ী করা হচ্ছে।

ইলেক্ট্রিক গাড়ির (electric vehicle) জনপ্রিয়তা বাড়ার কারণে পেট্রোলের চাহিদা কিছুটা কমতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

গ্যাসবাডির তথ্য অনুযায়ী, মেমোরিয়াল ডে থেকে শ্রম দিবস পর্যন্ত পুরো গ্রীষ্মকালে পেট্রোলের গড় দাম প্রতি গ্যালন ৩.০২ ডলার থাকতে পারে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *