মেমোরিয়াল ডে: সেনাদের আত্মত্যাগে রাষ্ট্রপতিদের গভীর শ্রদ্ধা!

যুদ্ধাহত সৈনিকদের প্রতি সম্মান: যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টদের স্মৃতিচারণ।

যুক্তরাষ্ট্রে মেমোরিয়াল ডে বা স্মৃতি দিবস পালিত হয়, যা সৈন্যদের আত্মত্যাগের প্রতি উৎসর্গীকৃত একটি বিশেষ দিন। এই দিনে, জাতির জন্য জীবন উৎসর্গ করা বীর সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এই উপলক্ষে, দেশটির প্রাক্তন প্রেসিডেন্টগণ তাঁদের বক্তব্যে দেশপ্রেম, আত্মত্যাগ এবং স্মরণীয় মুহূর্তগুলির কথা তুলে ধরেন। সম্প্রতি, এই দিবস উপলক্ষ্যে প্রাক্তন প্রেসিডেন্টদের কিছু স্মরণীয় উক্তি প্রকাশিত হয়েছে, যা তাঁদের গভীর শ্রদ্ধা ও শোকের প্রতিচ্ছবি।

সাবেক প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগান ১৯৮২ সালে আর্লিংটন ন্যাশনাল সেমেট্রিতে দেওয়া ভাষণে বলেন, “অন্যেরা যেন বাঁচতে পারে, সেই জন্য কিছু মানুষের জীবন উৎসর্গ করার মানসিকতা আমাদের মধ্যে বিস্ময় ও রহস্যের জন্ম দেয়। এই পবিত্র ভূমিতে সেই অনুভূতি উপলব্ধি করা যায়।

আমি ইউরোপ, ফিলিপাইন এবং আমাদের দেশের সামরিক কবরস্থানে শ্বেত ক্রুশ ও ডেভিডের তারকাদের সারিতে তাকিয়ে একই গভীর অনুভূতি অনুভব করেছি। প্রত্যেকটি স্থান একজন আমেরিকান বীরের বিশ্রামস্থল।”

পরবর্তীতে, ১৯৯৮ সালে প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন বলেন, “আমার প্রিয় আমেরিকান নাগরিকবৃন্দ, এই স্মৃতি দিবসে, আসুন আমরা তাঁদের আত্মত্যাগের যোগ্য একটি ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের উৎসর্গ করি।”

প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ২০০২ সালে ফ্রান্সের কোলেভিল-সুর-মেরে দেওয়া ভাষণে বলেছিলেন, “এমন একদিন আসবে যখন তাঁদের কথা জানা কেউ আর অবশিষ্ট থাকবে না।

যখন এই সমাধিস্থলে আসা কোনো দর্শক একটি মুখ ও কণ্ঠস্বর স্মরণ করতে পারবে না। তবে, সেই দিনটি কখনোই আসবে না, যখন আমেরিকা তাঁদের ভুলে যাবে। আমাদের জাতি এবং বিশ্ব সর্বদা স্মরণ করবে, তাঁরা এখানে কী করেছিলেন, এখানে কী দিয়েছেন, মানবজাতির ভবিষ্যতের জন্য।”

বারাক ওবামা ২০১১ সালে বলেন, “আমাদের জাতি তারfallen heroes-দের কাছে ঋণী, যা আমরা কখনোই পুরোপুরি পরিশোধ করতে পারব না, তবে আমরা তাদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানাতে পারি, এবং আমাদের তা জানানো উচিত।”

২০১৮ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাষণে শোনা যায়, “তাঁরা ছিলেন জেনারেল ও সাধারণ সৈনিক, ক্যাপ্টেন ও কর্পোরাল, সকল জাতি, বর্ণ এবং মতাদর্শের। কিন্তু তাঁরা সবাই ছিলেন সশস্ত্র বাহিনীর ভাই ও বোন।

তাঁরা সবাই তখন ঐক্যবদ্ধ ছিলেন, যেমন তাঁরা এখন চিরকালের জন্য ঐক্যবদ্ধ, আমাদের মহান দেশের প্রতি তাঁদের অদম্য ভালোবাসার দ্বারা।”

সবশেষে, জো বাইডেন ২০২২ সালে বলেছিলেন, “এটিই আমাদের সময়ের মিশন। তাঁদের প্রতি আমাদের স্মারক শুধু সেই দিন হওয়া উচিত নয়, যখন আমরা বিরতি দিই এবং প্রার্থনা করি।

এটি অবশ্যই প্রতিদিনের অঙ্গীকার হওয়া উচিত, কাজ করা, একত্রিত হওয়া, সেই মূল্যের যোগ্য হওয়া যা পরিশোধ করা হয়েছে।”

যুক্তরাষ্ট্রের এই স্মৃতি দিবস, যা তাঁদের বীরদের প্রতি সম্মান জানানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষ্য, আত্মত্যাগের গভীরতাকে স্মরণ করিয়ে দেয়।

এই দিনটি, শুধু একটি শোকের দিন নয়, বরং দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *