স্বামীকে ‘না’! : স্ত্রীর এমন সিদ্ধান্তের কারণ?

আট বছর একসঙ্গে সংসার করার পর, ভালোবাসার সম্পর্কে চিড় ধরছে কিনা, এমন একটা প্রশ্ন নিয়ে দুশ্চিন্তায় এক ব্যক্তি। তার স্ত্রী মেনোপজের শেষ পর্যায়ে রয়েছেন।

সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে আর আগ্রহী নন তিনি। তিনি ভালোবাসেন, কিন্তু দাম্পত্য জীবনে অন্যরকম একটা পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। স্বামীর মনে প্রশ্ন জেগেছে, ভালোবাসার এই গভীর সম্পর্কে হঠাৎ এমন পরিবর্তনের কারণ কি?

পুরুষটির স্ত্রীর মতে, তাদের মধ্যে কোনো মনোমালিন্য নেই, কিংবা অন্য কারো প্রতি আকর্ষণও নেই। তিনি কেবল চান, তাদের সম্পর্কটা যেন শারীরিক সম্পর্কের বাইরেও অটুট থাকে।

তিনি চান, তার স্বামী একজন নিবেদিত সঙ্গীর মতো পাশে থাকুক। কিন্তু একজন মানুষের পক্ষে সঙ্গীর এই ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে, শারীরিক সম্পর্ক ছাড়া জীবন কাটানো কতটা সম্ভব? এই প্রশ্নটিই এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেনোপজের কারণে একজন নারীর যৌনজীবনে পরিবর্তন আসতে পারে। শরীরে হরমোনের পরিবর্তনের ফলে অনেক সময় যৌন-ইচ্ছা কমে যায়।

শরীরে শুষ্কতা ও অন্যান্য শারীরিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে, যা স্বাভাবিক সম্পর্কের পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। এক্ষেত্রে স্ত্রীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি স্বামীর যত্ন নেওয়াটা জরুরি।

ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া এবং স্ত্রীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের কথা শোনা প্রয়োজন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আলোচনা এবং সমঝোতার মাধ্যমে হয়তো একটি সমাধানে আসা যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে স্ত্রীর ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে হবে।

হরমোন থেরাপির মতো কিছু বিকল্পও রয়েছে, যা যৌন-ইচ্ছা পুনরুদ্ধারে সাহায্য করতে পারে। তবে এটি সম্পূর্ণভাবে স্ত্রীর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।

এই ধরনের পরিস্থিতিতে তাড়াহুড়ো করে কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, একসঙ্গে পথচলার আট বছরে আপনারা অনেক স্মৃতি তৈরি করেছেন।

তাই, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হলে, একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে। এক্ষেত্রে, সমস্যাগুলো ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করা এবং প্রয়োজনে অভিজ্ঞ পরামর্শকের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।

দাম্পত্য জীবনকে সুন্দর ও সুখী রাখতে পারস্পরিক বোঝাপড়া, আলোচনা এবং ভালোবাসার কোনো বিকল্প নেই।

তথ্যসূত্র: The Guardian

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *