মেসি ম্যাজিকে ভর করে কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের সেমিফাইনালে ইন্টার মিয়ামি।
লিয়োনেল মেসির জোড়া গোলে লস অ্যাঞ্জেলেস এফসিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এই টুর্নামেন্টের শেষ চারে জায়গা করে নিল ডেভিড বেকহ্যামের ক্লাবটি।
দুই লেগ মিলিয়ে তারা ৩-২ ব্যবধানে জয়ী হয়।
বুধবার রাতে অনুষ্ঠিত কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে শুরুতে পিছিয়ে পড়েও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় মিয়ামি।
ম্যাচের নবম মিনিটে অ্যারন লংয়ের গোলে এগিয়ে যায় লস অ্যাঞ্জেলেস।
এর আগে প্রথম লেগে ১-০ গোলে হেরে ব্যাকফুটে ছিল মিয়ামি।
ফলে, অ্যাওয়ে গোলের সুবাদে হিসাব মেলাতে কঠিন সমীকরণ ছিল তাদের সামনে।
তবে, এরপরই শুরু হয় মেসির ঝলক।
প্রথমার্ধের একেবারে শেষ দিকে মেসির অসাধারণ গোলে ম্যাচে ফেরে মিয়ামি।
এর কিছু পরেই লুইস সুয়ারেজের অ্যাসিস্ট থেকে গোল করে ব্যবধান কমান ফেদেরিকো রেদন্দ।
ফলে, ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় মিয়ামি।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৮৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন মেসি।
লস অ্যাঞ্জেলেস এফসির খেলোয়াড় মার্লন হ্যান্ডবল করলে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি।
ম্যাচ শেষে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মিয়ামির কোচ হাভিয়ের মাসচেরানো বলেন, “আমরা আরও কিছু চেয়েছিলাম এবং তা অর্জন করতে পেরেছি।
এমন প্রত্যাবর্তনে ভাগ্য সহায় থাকতে হয়, যা আমাদের সঙ্গে ছিল।”
ম্যাচে মেসির অসাধারণ পারফরম্যান্সের প্রশংসা করে সবাই।
শুধু মাঠের পারফরম্যান্সেই নয়, খেলার শেষে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের সঙ্গে কিছুটা উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হলেও মেসি ছিলেন শান্ত।
খেলা শেষে উভয় দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
তবে শেষ পর্যন্ত মিয়ামিই হাসে।
সেমিফাইনালে মিয়ামির প্রতিপক্ষ কানাডার ক্লাব ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপস।
তারাও আরেক ম্যাচে জয়ী হয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে।
টুর্নামেন্টের অন্য দুটি সেমিফাইনালে খেলবে মেক্সিকোর ক্লাব ক্রুজ আজুল এবং টিগ্রেস।
তথ্য সূত্র: সিএনএন