মেট গালা: ফ্যাশন দুনিয়ায় পরিবর্তনের সুর
নিউ ইয়র্কের মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অফ আর্ট-এর বার্ষিক ফ্যাশন ইভেন্ট, মেট গালা আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। প্রতি বছর এই অনুষ্ঠানে ফ্যাশন এবং সংস্কৃতির এক দারুণ মিলন ঘটে, যেখানে তারকারা তাদের ভিন্নধর্মী পোশাকের মাধ্যমে নিজেদের উপস্থাপন করেন।
এবারের গালা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কস্টুম ইনস্টিটিউটের বিশেষ প্রদর্শনী, “সুপারফাইন: টেইলারিং ব্ল্যাক স্টাইল”।
মেট গালা শুধু একটি ফ্যাশন ইভেন্ট নয়, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক প্ল্যাটফর্মও বটে। এই বছর, অনুষ্ঠানটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভিন্নতা এবং অন্তর্ভুক্তির ধারণাগুলো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে।
“সুপারফাইন” প্রদর্শনীটি কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষদের ফ্যাশন এবং পোশাকের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশের বিষয়টি তুলে ধরবে। প্রদর্শনীটি প্রমাণ করে, কীভাবে পোশাক একটি শক্তিশালী মাধ্যম হতে পারে নিজেদের ভাবনা প্রকাশের।
অনুষ্ঠানটির মূল আকর্ষণ হলেন ভোগ ম্যাগাজিনের সম্পাদক আনা উইন্টুর। তাঁর সঙ্গে কো-চেয়ার হিসেবে থাকছেন এ$এপি রকি, কোলম্যান ডমিঙ্গো, লুইস হ্যামিল্টন, ফ্যারেল উইলিয়ামস এবং লেব্রন জেমস-এর মতো খ্যাতিমান ব্যক্তিরা।
এই বছর, রেড কার্পেটে তারকাদের ফ্যাশন নিয়ে সবার আগ্রহ থাকবে তুঙ্গে। বিশেষ করে, কৃষ্ণাঙ্গ সংস্কৃতিকে সম্মান জানিয়ে তাঁরা কীভাবে পোশাক পরেন, সেদিকে নজর থাকবে ফ্যাশন বোদ্ধাদের।
বিভিন্ন ডিজাইনার তাদের সৃষ্টিশীলতা প্রদর্শনের জন্য মুখিয়ে আছেন। ব্রিটিশ ভোগ-এর সম্পাদক চিওমা নাদি মার্টিন রোজের ডিজাইন করা একটি স্যুট পরবেন।
মেট গালার টিকিট-এর দাম প্রায় ৭৫,০০০ মার্কিন ডলার। এই অনুষ্ঠানে বহু প্রভাবশালী ব্যক্তি, যেমন- এলন মাস্ক, এমনকি এক সময়ের প্রভাবশালী ইভাঙ্কা ট্রাম্পকেও দেখা গেছে।
তবে, এবারকার অনুষ্ঠানে ট্রাম্প শিবিরের কেউ থাকবেন কিনা, সেদিকেও সকলের চোখ থাকবে।
প্রদর্শনীটি কস্টুম ইনস্টিটিউটের প্রধান অ্যান্ড্রু বোল্টন এবং অতিথি কিউরেটর মনিকা এল মিলারের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে।
মিলারের ২০০৯ সালের বই, “স্লেভস টু ফ্যাশন: ব্ল্যাক ডান্ডিইজম অ্যান্ড দ্য স্টাইলিং অফ ব্ল্যাক ডায়াস্পোরিক আইডেন্টিটি” এই প্রদর্শনীর অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
ফ্যাশন বিশ্বে পরিবর্তনের এই সুর, মেট গালাকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। একদিকে যেমন ফ্যাশনের উদযাপন, তেমনই ভিন্নতা ও সংস্কৃতির প্রতি সম্মান জানানো হচ্ছে এই আয়োজনে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান