আকাশে দেখা যাওয়া ‘ভয়ঙ্কর’ অগ্নিগোলক আসলে একটি উল্কা, যা প্রায় ২০ টন টিএনটির সমান শক্তি নিয়ে বিস্ফোরিত হয়েছিল। গত ২৬শে জুন, যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে এই ঘটনাটি ঘটেছিল।
নাসা’র বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এটি একটি উল্কা ছিল, যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার পরে বিস্ফোরিত হয়।
নাসার মেটিরিওড এনভায়রনমেন্ট অফিসের প্রধান বিল কুকের মতে, উল্কাটি প্রথম জর্জিয়ার অক্সফোর্ড শহরের প্রায় ৪৮ মাইল উপর দিয়ে ঘণ্টায় ৩০ হাজার মাইল বেগে যাচ্ছিল। তিনি আরও জানান, প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ, ক্যামেরা, স্যাটেলাইট, ইনফ্রাসাউন্ড এবং ডপলার ওয়েদার রাডার ডেটা বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে আসা গেছে।
কুক বলেন, “এটি জর্জিয়ার ওয়েস্ট ফরেস্টের ২৭ মাইল উপরে বিস্ফোরিত হয়, যা প্রায় ২০ টন টিএনটির সমান শক্তি উৎপন্ন করে। এর ফলে সৃষ্ট চাপ তরঙ্গ ভূমিতে পৌঁছে এবং স্থানীয় বাসিন্দারা বিকট শব্দ শুনতে পান।”
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বিস্ফোরিত হওয়া উল্কাটির ব্যাস ছিল প্রায় ৩ ফুট (প্রায় ০.৯ মিটার) এবং ওজন ছিল এক টনের বেশি।
সিবিএস মর্নিংসের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, নাসা’র সেন্টার ফর নিয়ার আর্থ অবজেক্টস স্টাডিজের তথ্য অনুযায়ী, শুধু ২০২৫ সালেই বিশ্বজুড়ে এ ধরনের অন্তত ২০টি ঘটনার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মেলানি হুইটлок জানিয়েছেন, উল্কার শব্দ এতটাই ভয়ঙ্কর ছিল যে তিনি খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর মেয়ে অ্যাম্বার হাডসন বলেন, “আমি কাঁপতে শুরু করেছিলাম, এরপর বিকট শব্দ শুনতে পাই। এমনকি আমার নাইটস্ট্যান্ডের ওপর থেকে একটি পানির বোতলও পড়ে যায়।”
মহাকাশে এমন ঘটনা নতুন নয়। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রায়ই বিভিন্ন আকারের মহাজাগতিক বস্তু প্রবেশ করে এবং এদের মধ্যে কিছু বিস্ফোরিত হয়। এই ধরনের ঘটনাগুলো বিজ্ঞানীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা মহাকাশ এবং পৃথিবীর মধ্যেকার সম্পর্ক বুঝতে সাহায্য করে।
তথ্য সূত্র: পিপল, সিবিএস মর্নিংস, ডব্লিউএসবি-টিভি আটলান্টা।