মেক্সিকো কর্তৃপক্ষ একজন চীনা নাগরিককে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দিয়েছে। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদক পাচার ও অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
অভিযুক্তের নাম ঝি ডং ঝাং। তিনি ‘ব্রাদার ওয়াং’ নামেও পরিচিত।
মার্কিন কর্তৃপক্ষের দাবি, ঝাংয়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে এক হাজার কেজির বেশি কোকেন এবং এক হাজার আটশ’ কেজির বেশি ফেনটানিল পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া, তাঁর বিরুদ্ধে প্রতি বছর ১৫ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মেক্সিকোর জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ওমর গার্সিয়া হারফুচ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ঝাংকে গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে গত অক্টোবরে মেক্সিকোতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ঝাং। বিচার প্রক্রিয়া শুরুর আগে তাঁকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছিল।
কিন্তু গত ১১ জুলাই তিনি গৃহবন্দী অবস্থা থেকে পালিয়ে যান।
পরে কিউবা থেকে তাঁকে পুনরায় গ্রেপ্তার করা হয়। কিউবা সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ঝাংকে আটকের ক্ষেত্রে কিউবা সরকার মূল্যবান সহযোগিতা করেছে।
মার্কিন তদন্তকারীদের দাবি, ‘ব্রাদার ওয়াং’ যুক্তরাষ্ট্র, মধ্য আমেরিকা, ইউরোপ, চীন, জাপান ও মেক্সিকোতে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করতেন।
মেক্সিকোর বিভিন্ন অপরাধী চক্রের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে তিনি মাদক পাচারের কাজ করতেন।
ফেনটানিল যুক্তরাষ্ট্রে মাদক ওভারডোজের অন্যতম প্রধান কারণ।
এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র, চীনে ফেনটানিল তৈরির রাসায়নিক উপাদান সরবরাহ বন্ধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় বেইজিংকে দায়ী করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, চীন সরকার বিষয়টিতে যথেষ্ট মনোযোগ দিচ্ছে না।
অন্যদিকে, চীন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘ব্ল্যাকমেইলিংয়ের’ অভিযোগ এনেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী সপ্তাহে এশিয়া সফরে যাচ্ছেন।
সেখানে তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
হোয়াইট হাউস সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে ট্রাম্পের আলোচনার প্রধান বিষয় হবে ফেনটানিল।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র শুক্রবার এক নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ঝাংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে, নির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানা নেই বলে মন্তব্য করেন।
তথ্য সূত্র: সিএনএন