গর্ভবতী এক নারী তাঁর অনাগত সন্তানের নামকরণের সিদ্ধান্তে পরিবারের অন্য সদস্যের আপত্তির জেরে এক জটিল পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন। জানা গেছে, ওই নারী এবং তাঁর স্বামী তাঁদের সম্ভাব্য কন্যা সন্তানের জন্য ‘লিয়া’ (সংক্ষেপে) নামটি পছন্দ করেছেন।
কিন্তু, এই নামের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছেন ওই নারীর সৎ মা।
সম্প্রতি, অনলাইনে প্রকাশিত একটি তথ্যের সূত্রে জানা যায়, ওই নারীর সৎ মায়ের যুক্তি হলো, ‘লিয়া’ তাঁর নিজেরও একটি পছন্দের নাম, যা তাঁর পরিবারের সঙ্গে বিশেষভাবে জড়িত। তাই, তিনি চান না যে তাঁর সৎ মেয়ের অনাগত সন্তানের এই নাম রাখা হোক।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন ওই নারী তাঁর স্বামীর সঙ্গে মিলে একটি সামাজিক মাধ্যমে তাঁদের অনাগত সন্তানের নামকরণের বিষয়ে আলোচনা করছিলেন। এর কিছু দিন পরেই, ওই নারী তাঁর বাবার বাড়িতে বেড়াতে গেলে, তাঁর সৎ মা এই বিষয়ে তাঁর আপত্তির কথা জানান।
ওই নারী জানান, তিনি এবং তাঁর স্বামী তাঁদের অনাগত সন্তানের জন্য ‘লিয়া’ নামটি পছন্দ করার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছিলেন। তিনি বলেন, “আমরা এখনো নিশ্চিত নই যে আমাদের সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে, তবে আমরা যদি কন্যা সন্তানের জন্ম দিই, তাহলে তার নাম ‘লিয়া’ রাখতে চাই।”
তবে, সৎ মায়ের আপত্তিতে তিনি বেশ মর্মাহত হয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি খুবই হতাশ হয়েছি, কারণ আমরা দুজনেই এই নামটা খুবই পছন্দ করেছিলাম।” তিনি আরও জানান যে, তিনি তাঁর সৎ মায়ের এই আবদার রাখতে রাজি নন।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর, সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করছেন, নামকরণের ক্ষেত্রে পরিবারের অন্য কারও আপত্তি জানানোটা ঠিক নয়।
আবার, কারো কারো মতে, যেহেতু ‘লিয়া’ নামটি ওই নারীর সৎ মায়েরও পছন্দের, তাই এখানে কিছুটা হলেও তাঁর অধিকার আছে। একজন মন্তব্যকারী বলেন, “নামের উপর তো কারও একচেটিয়া অধিকার থাকতে পারে না।
সন্তানের নাম কী হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার মা-বাবার।”
অন্যদিকে, কেউ কেউ মনে করেন, সন্তানের নামকরণের ক্ষেত্রে পরিবারের অন্য সদস্যদেরও কিছু বলার থাকতে পারে। তাঁদের মতে, পরিবারে আগে থেকে কারো নাম থাকলে, সেই নামে সন্তানের নামকরণ করাটা সব সময় কাঙ্ক্ষিত নাও হতে পারে।
এই ঘটনার জেরে, নাম নির্বাচন নিয়ে পরিবারে সৃষ্ট এই দ্বন্দ্ব এখন নেটিজেনদের আলোচনার বিষয়। অনেকে মনে করেন, সন্তানের নামকরণের মতো ব্যক্তিগত একটি বিষয়ে পরিবারের অন্য সদস্যদের মতামত নেওয়া হলেও, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত মা-বাবারই।
তথ্য সূত্র: পিপল