মিয়ামি ওপেনে নোভাক জোকোভিচকে হারিয়ে আলো ছড়ালেন তরুণ খেলোয়াড় ইয়াকুব মেনসিক। রবিবার অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচে ১৯ বছর বয়সী চেক প্রজাতন্ত্রের এই টেনিস খেলোয়াড় ৭-৬ (৪), ৭-৬ (৪) গেমে হারান সার্বিয়ান কিংবদন্তি জোকোভিচকে।
এই জয়ের ফলে প্রথমবারের মতো কোনো এটিপি (ATP) খেতাব জিতলেন মেনসিক।
বিশ্বের ৫৪ নম্বর খেলোয়াড় মেনসিকের এটি ছিল জীবনের অন্যতম সেরা মুহূর্ত। এই জয়ের মাধ্যমে তিনি সরাসরি ক্যারিয়ারের সেরা র্যাংকিংয়ে পৌঁছে যাবেন, যা বর্তমানে ২৪।
খেতাব জয়ের পর মেনসিক আবেগাপ্লুত কণ্ঠে জানান, ছোটবেলায় তিনি জোকোভিচকে অনুসরণ করেই টেনিস খেলা শুরু করেছিলেন। তিনি আরও বলেন, “টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে আপনার (জোকোভিচ) বিপক্ষে ফাইনাল জেতা সবচেয়ে কঠিন কাজগুলির একটি।”
অন্যদিকে, জোকোভিচের জন্য এটি ছিল হতাশার এক ম্যাচ। এই জয়ের ফলে তিনি ওপেন যুগে ১০০টি খেতাব জয়ের মাইলফলক স্পর্শ করতে ব্যর্থ হলেন।
বর্তমানে রজার ফেদেরার ও জিমি কনোরসের পরেই তার স্থান। ম্যাচ চলাকালীন জোকোভিচকে চোখের সমস্যায় ভুগতে দেখা যায় এবং কয়েকবার বিরতির সময় চোখে ড্রপ দিতেও দেখা যায়।
তবে এই টুর্নামেন্টে আসার আগে মেনসিকের খেলা নিয়ে শঙ্কা ছিল। হাঁটুতে ব্যথার কারণে তিনি প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ থেকে নাম প্রত্যাহার করার কথা ভেবেছিলেন।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফিজিওথেরাপিস্টের সহায়তায় তিনি কোর্টে নামেন এবং অবিশ্বাস্যভাবে জয় পান।
ম্যাচ শেষে জোকোভিচ মেনসিকের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “ইয়াকুবের এই জয় তার এবং তার দলের জন্য বিশাল আনন্দের। দারুণ একটি টুর্নামেন্ট খেলেছ। আমি মনে করি, এটি তোমার প্রথম জয় এবং ভবিষ্যতে তুমি আরও অনেক খেতাব জিতবে।”
জোকোভিচ আরও যোগ করেন, “কঠিন মুহূর্তে তুমি যেভাবে খেলেছ, তা সত্যিই অসাধারণ ছিল।”
এই জয়ের ফলে মেনসিক ২০১৬ সালের কার্লোস আলকারাজের পর মিয়ামি ওপেনের দ্বিতীয় কনিষ্ঠতম চ্যাম্পিয়ন হলেন।
তথ্য সূত্র: সিএনএন