মায়ামি ওপেনে বাজিমাত, হাঁটুতে চোট নিয়েও সেরার মুকুট ১৯ বছর বয়সী জ্যাকব মেনসিকের।
টেনিস বিশ্বে আলোড়ন তুলেছেন চেক প্রজাতন্ত্রের তরুণ খেলোয়াড় জ্যাকব মেনসিক। মায়ামি ওপেনের ফাইনালে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তারকা নোভাক জোকোভিচকে হারিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম মেজর শিরোপা জিতেছেন তিনি।
খেলার ফল ছিল ৭-৬ (৪), ৭-৬ (৪)। তবে এই সাফল্যের পথে ছিল কঠিন এক বাঁধা। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে হাঁটুতে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন মেনসিক।
খেলার মতো পরিস্থিতিতে ছিলেন না তিনি।
আসলে, খেলার আগে হাঁটুতে গুরুতর প্রদাহ হওয়ায় টুর্নামেন্ট থেকে নাম তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মেনসিক। বিষয়টি জানানোর জন্য তিনি ছুটে গিয়েছিলেন রেফারির কক্ষে।
কিন্তু সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, রেফারি তখন দুপুরের খাবারে গিয়েছেন। উপায় না দেখে তিনি যান ফিজিওর কাছে।
ফিজিওর পরামর্শ এবং কিছু ঔষধের পর কিছুটা সুস্থ বোধ করেন মেনসিক। এরপরই তিনি খেলার সিদ্ধান্ত নেন।
নিজের শারীরিক অবস্থা নিয়ে মেনসিক জানান, “হাঁটুর ব্যথায় আমি এতটাই কাবু হয়ে পরেছিলাম যে, দৌড়াতে বা হাঁটতে পারছিলাম না। ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার পরেও কোনো উন্নতি হয়নি।
ম্যাচ শুরুর আগে মনে হয়েছিল, খেলা থেকে নাম তুলে নিতে হবে। পরে ফিজিও আমার হাঁটু পরীক্ষা করে তেমন গুরুতর কিছু পাননি। এরপরই খেলার চেষ্টা করি।”
এই জয়ের পর উচ্ছ্বসিত মেনসিক বলেন, “আমি এখনো তরুণ, আমার সামনে অনেক পথ খোলা। এই শিরোপা আমার কাছে অনেক মূল্যবান। তবে আমি আরও অনেক কিছু চাই।”
অন্যদিকে, জোকোভিচ মেনসিকের খেলার প্রশংসা করে বলেন, “আমি সাধারণত হারতে পছন্দ করি না, তবে মেনসিকের কাছে হারলে আমার ভালো লাগে। আমি যখন ১৫-১৬ বছর বয়সে খেলতাম, তখন থেকেই তার খেলা দেখছি।
তার খেলা অনেক উন্নতি করেছে। তার মধ্যে শীর্ষ খেলোয়াড় হওয়ার সব গুণ রয়েছে।” জোকোভিচ আরও যোগ করেন, “তার সার্ভিস অসাধারণ, ব্যাকহ্যান্ডও বেশ ভালো। তবে তার মুভমেন্ট আরও উন্নত করার সুযোগ আছে।”
জোকোভিচ তার নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে বলেন, “আমার জন্য এটা দুর্ভাগ্যজনক। মাঠে আমি আমার সেরাটা দিতে পারিনি, তবে এটাই সত্যি।
মেনসিকের জয়কে আমি ছোট করতে চাই না।”
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান