শিরোনাম: “সিনার্স”-এর শুটিংয়ে নকল রক্ত নিয়ে অস্বস্তিতে মাইকেল বি. জর্ডান, জরুরি বৈঠকে প্রযোজক
হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা মাইকেল বি. জর্ডান সম্প্রতি তাঁর নতুন ছবি ‘সিনার্স’-এর শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেছেন। ছবিতে ভ্যাম্পায়ারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ১৯৩০-এর দশকের মিসিসিপির প্রেক্ষাপটে নির্মিত এই ছবিতে যমজ ভাইয়ের দ্বৈত চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে।
ছবিতে রক্তক্ষরণের দৃশ্য ধারণের জন্য প্রচুর পরিমাণে নকল রক্তের ব্যবহার করা হয়েছে, যা নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে ছিলেন জর্ডান।
ছবিতে অভিনয়ের সময় নকল রক্তের কারণে সৃষ্ট কিছু সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে প্রযোজনা দলের সঙ্গে অভিনেতার একটি জরুরি বৈঠকও হয়। পরিচালককের স্ত্রী ও প্রযোজক জিনজি কুগলার জানান, মাইকেল নাকি রক্তের কারণে কিছুটা বিরক্ত ছিলেন।
তাঁর এই অভিযোগের পরই মিটিংয়ের আয়োজন করা হয়। জর্ডান বিষয়টি নিয়ে মজা করে বলেন, “আমি অভিযোগ করিনি, বরং আমার ভেতরের অনুভূতিগুলো প্রকাশ করেছি। তবে তাঁরা আমার প্রতি যত্নশীল, তাই মিটিং ডেকেছিলেন। আমি তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
পরিচালক রায়ান কুগলার জানান, শুটিংয়ের সময় রক্তের কারণে মাঝে মাঝে এমন পরিস্থিতি তৈরি হত যে, তিনি যখন ‘অ্যাকশন’ বলতেন, তখন জর্ডানকে বলতে শোনা যেত, ‘এটা খুবই বিরক্তিকর’।
“সিনার্স”-এর শুটিং হয়েছে নিউ অরলিন্স এবং লুইজিয়ানার আশেপাশে। গরম আবহাওয়ার মধ্যে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে জর্ডানের সহ-অভিনেত্রী হেইলি স্টেইনফেল্ড জানান, নকল রক্তের কারণে তাঁদের অনেক বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে।
তাঁদের আঙুলগুলো পর্যন্ত একে অপরের সঙ্গে লেগে যাচ্ছিল।
আরেক অভিনেত্রী ওয়ামি মোসাকু বলেন, “বিশেষজ্ঞরা আমাদের শরীরে তার দিয়ে রক্ত পাম্প করছিলেন। ফলে এটা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছিল। অস্বস্তিকর হলেও এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়েছে।” তিনি আরও যোগ করেন, মাইকেল বি. জর্ডান সবসময় চেষ্টা করতেন কোনো অভিযোগ না করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে।
গরমের মধ্যে ভারী পোশাক পরে তিনি চুপচাপ থাকতেন। তাঁর কাছ থেকে তাঁরা শিখেছেন, কোনো পরিবর্তনের উপায় না থাকলে চুপ করে থেকে কাজ চালিয়ে যেতে হয়।
আসলে, সিনেমার জগতে এমন অনেক কিছুই ঘটে যা দর্শকদের অজানা থাকে। একজন অভিনেতাকে একটি চরিত্রের জন্য কতটা ত্যাগ স্বীকার করতে হয়, ‘সিনার্স’-এর শুটিং তারই একটি উদাহরণ।
বর্তমানে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘সিনার্স’।
তথ্য সূত্র: পিপল ম্যাগাজিন