ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ছেন মাইকেল বোল্টন! মুখ খুললেন আবেগঘন সাক্ষাৎকারে

বিখ্যাত শিল্পী মাইকেল বোল্টন, যিনি তাঁর অসাধারণ কণ্ঠের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাঁর মস্তিষ্কের ক্যান্সারের (গ্লিওব্লাস্টোমা) কথা প্রকাশ করেছেন। এই বিরল এবং মারাত্মক ক্যান্সার ধরা পরে তাঁর, গত ডিসেম্বরে।

খবরটি পাওয়ার পর থেকেই শিল্পী তাঁর চিকিৎসার উপর জোর দিয়েছেন এবং সেরে ওঠার জন্য অবিরাম চেষ্টা চালাচ্ছেন।

শিল্পী বোল্টনের কণ্ঠের জাদুতে মুগ্ধ শ্রোতাদের সংখ্যা অনেক। তাঁর সুরেলা কণ্ঠের মাধুর্য্যে মুগ্ধ হয়েছেন কোটি কোটি মানুষ।

গানের জগতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। প্রায় ৫০ বছরের সঙ্গীত জীবনে তিনি বিশ্বজুড়ে ৭৫ মিলিয়নেরও বেশি রেকর্ড বিক্রি করেছেন এবং দুটি গ্র্যামি পুরস্কার জিতেছেন।

চিকিৎসার অংশ হিসেবে, বোল্টনের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে এবং বর্তমানে তিনি কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপির মতো চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন।

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের পর তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তবে, ক্যান্সারটি পুনরায় ফিরে আসার সম্ভবনা এখনো রয়েছে, তাই নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে তাঁকে।

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, গ্লিওব্লাস্টোমা রোগীদের ক্ষেত্রে ক্যান্সার ফিরে আসার সম্ভবনা প্রায় ৯০ শতাংশ।

বোল্টন তাঁর পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন, বিশেষ করে তাঁর তিন মেয়ে – হোলি, ইসা এবং টারিনের প্রতি। তাঁদের সমর্থন ও ভালোবাসাই এই কঠিন সময়ে তাঁকে সাহস জুগিয়েছে।

পরিবারের সদস্যরা সবসময় তাঁর পাশে থেকেছেন এবং কঠিন পরিস্থিতিতেও মনোবল যোগাচ্ছেন।

এই দুঃসময়েও, শিল্পী তাঁর জীবনকে ভালোবাসেন এবং ইতিবাচক মানসিকতা বজায় রেখেছেন। তিনি নিয়মিত ধ্যান করেন, গলফ খেলেন, এবং কণ্ঠের অনুশীলন চালিয়ে যান।

তিনি বলেন, “আমি জীবনটাকে আরও গভীরভাবে উপলব্ধি করতে শিখেছি। খারাপ পরিস্থিতিতেও কীভাবে ভালো থাকা যায়, সেই চেষ্টা করছি।”

নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে বোল্টন বলেন, “আমি এখনও অনেক কিছু করতে চাই। আমার একটি গানের শিরোনাম ঠিক করেছি – ‘আইন্ট গোয়িং ডাউন উইদাউট আ ফাইট’ (আমি সহজে হার মানব না)।”

এই কঠিন সময়ে, বিশ্বজুড়ে তাঁর ভক্তরা তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন। শিল্পী মাইকেল বোল্টনের এই লড়াই, নিঃসন্দেহে অনেক মানুষের কাছে অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *