১১০০ কোটি টাকার বাস্কেটবল কার্ড! হতবাক বিশ্ব!

**খেলাধুলার জগতে নতুন রেকর্ড: মাইকেল জর্ডান ও কোবি ব্রায়ান্টের বাস্কেটবল কার্ড ১৩ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি**

বিশ্বের ক্রীড়া জগতের ইতিহাসে আবারও এক নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।

বাস্কেটবল কিংবদন্তী মাইকেল জর্ডান এবং প্রয়াত কোবি ব্রায়ান্টের একটি বিশেষ বাস্কেটবল কার্ড ১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে বিক্রি হয়েছে।

এই বিশাল মূল্যে কার্ডটি বিক্রি হওয়ায়, এটি এখন পর্যন্ত কোনো খেলার সামগ্রীর জন্য দেওয়া সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড গড়েছে।

এই কার্ডটি ২০০৭-০৮ সালের ‘আপার ডেক এক্সকুইজিট কালেকশন ডুয়াল লোগোম্যান’ সিরিজের অংশ।

কার্ডটিতে বাস্কেটবলের এই দুই উজ্জ্বল নক্ষত্রের ছবি, তাদের স্বাক্ষর এবং খেলোয়াড়ী জীবনের জার্সি থেকে নেওয়া এনবিএ লোগো প্যাচ যুক্ত করা হয়েছে।

টেক্সাসের ডালাসে হেরিটেজ অকশনস নামক নিলাম হাউজে কার্ডটি বিক্রি হয়।

তবে, কার্ডটি কে কিনেছেন, সেই ক্রেতার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

ঐতিহ্যপূর্ণ এই কার্ডটির মূল্য এত বেশি হওয়ার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে।

কার্ডটিতে একদিকে যেমন বাস্কেটবলের দুই কিংবদন্তীর ছবি রয়েছে, তেমনি তাদের স্বাক্ষর এবং খেলার সময়ের জার্সির অংশও জুড়ে দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও, কোবি ব্রায়ান্টের আকস্মিক মৃত্যু এই কার্ডের বিশেষত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, কারণ এই ধরনের কার্ড আর তৈরি করা হবে না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, খেলার দুনিয়ায় খেলোয়াড়দের ব্যবহৃত জিনিসপত্রের প্রতি মানুষের আগ্রহ সবসময়ই থাকে।

বিশেষ করে, যখন কোনো কিংবদন্তীর সঙ্গে জড়িত কিছু হয়, তখন এর চাহিদা আরও বেড়ে যায়।

এই কার্ডটিও তেমনই একটি আকর্ষণীয় উদাহরণ।

এই কার্ডটি যে দামে বিক্রি হয়েছে, তা খেলাধুলার ইতিহাসে আগের অনেক রেকর্ডকে ভেঙে দিয়েছে।

এর আগে, সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়া স্পোর্টস কার্ড ছিল ১৯৫২ সালের একটি ‘মিッキー ম্যান্টল’ বেসবল কার্ড, যা ১২.৬ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছিল।

এছাড়াও, ২০১৯ সালে ৫.৯ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছিল স্টিফেন কারির একটি বাস্কেটবল কার্ড।

তবে, খেয়াল রাখতে হবে, খেলোয়াড়দের ব্যবহৃত সামগ্রীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়া সামগ্রী এটি নয়।

এর আগে, বেসবল কিংবদন্তী বেব রুথের ১৯৩২ সালের একটি জার্সি ২৪.১২ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছিল।

সাধারণভাবে, বাংলাদেশে খেলাধুলার সংগ্রহশালা বা এই ধরনের জিনিসপত্রের প্রতি আগ্রহ তুলনামূলকভাবে কম দেখা যায়।

পশ্চিমা বিশ্বে এই ধরনের সংগ্রহ খুবই জনপ্রিয়।

সাধারণত, ক্রিকেট বা ফুটবলের কিছু স্মারক এ দেশে সংগ্রহ করা হলেও, বাস্কেটবল কার্ডের মতো বিষয়গুলো এখনো পরিচিত নয়।

এই কার্ডের দাম বাংলাদেশি টাকায় হিসাব করলে প্রায় ১৪০ কোটি টাকার বেশি হবে, যা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি বিশাল অঙ্কের টাকা।

উদাহরণস্বরূপ, এই পরিমাণ টাকায় হয়তো কয়েকটি বহুতল ভবন তৈরি করা সম্ভব।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *