শিরোনাম: বক্সিং রিং থেকে জীবন বাঁচানোর লড়াই: মাইকেল ওয়াটসন ও পিটার হ্যামলিনের অটুট বন্ধন
বক্সিং খেলার রিংয়ে গুরুতর আহত হওয়ার পর নিউরোসার্জন পিটার হ্যামলিনের তত্ত্বাবধানে নতুন জীবন ফিরে পান মাইকেল ওয়াটসন। ১৯৯১ সালের সেপ্টেম্বরে ক্রিস ইউব্যাঙ্কের সঙ্গে এক ম্যাচে মারামারির পর ব্রেইন ইনজুরিতে পড়েন ওয়াটসন। এরপর হ্যামলিনের অস্ত্রোপচার ও চিকিৎসার মাধ্যমে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি।
শুধু তাই নয়, এই ঘটনার পর তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে এক গভীর সম্পর্ক, যা আজও অটুট।
হ্যামলিন একজন খ্যাতিমান নিউরোসার্জন। খেলাধুলার জগতে মস্তিষ্কের আঘাত নিয়ে কাজ করাটা একসময় তেমন গুরুত্ব পেত না। হ্যামলিন সেই ধারণাকে পাল্টে দেন।
খেলোয়াড়দের সুরক্ষায় তার অবদান অনস্বীকার্য।
মাইকেল ওয়াটসনকে নিয়ে হ্যামলিনের অনুভূতির কথা বলতে গিয়ে জানা যায়, তাদের সম্পর্ক পরিবারের মতো। ওয়াটসনের জীবনের কঠিন সময়ে হ্যামলিন ছিলেন তার পাশে, আবার হ্যামলিনের ব্যক্তিগত দুঃখের দিনে ওয়াটসন ছিলেন তার সবচেয়ে বড় সহযোগী।
হ্যামলিনের বড় ছেলের অকাল মৃত্যুতে ওয়াটসন তাকে সাহস জুগিয়েছিলেন।
বর্তমানে, ওয়াটসন হ্যামলিনের একটি দাতব্য সংস্থার জন্য অর্থ সংগ্রহ করছেন। এই সংস্থাটি মস্তিষ্কের রোগ এবং আঘাত নিয়ে গবেষণা করে।
আগামী ১৬ এপ্রিল লন্ডনে ‘মাইকেল’স মাইল’ নামের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন ওয়াটসন, যেখানে তিনি এক মাইল পথ হেঁটে তহবিল সংগ্রহ করবেন।
হ্যামলিন মনে করেন, খেলাধুলার জগতে আঘাতের শিকার হওয়া খেলোয়াড়দের জন্য উন্নত চিকিৎসা জরুরি। তিনি খেলোয়াড়দের আঘাতের ঝুঁকি কমাতে এবং দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন।
তার মতে, খেলার মাঠে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
হ্যামলিন আরও জানিয়েছেন, বর্তমানে তারা এমন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছেন, যা মস্তিষ্কের রোগ শনাক্ত করতে সাহায্য করবে। এর মাধ্যমে রোগের প্রাথমিক পর্যায়েই চিহ্নিত করা সম্ভব হবে এবং দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া যাবে।
ওয়াটসনের মতে, হ্যামলিন তার জীবন বাঁচিয়েছেন এবং তাকে নতুন করে বাঁচতে শিখিয়েছেন।
এই মানুষটির প্রতি তিনি কৃতজ্ঞ। ওয়াটসন বলেন, জীবন অনেক সময় কঠিন হয়ে আসে, কিন্তু লড়াই চালিয়ে গেলে জয়ী হওয়া যায়।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান