মিশেল ট্র্যাখটেনবার্গের মৃত্যু: স্তব্ধ ভক্তরা, আসল কারণ ফাঁস!

প্রখ্যাত অভিনেত্রী মিশেল ট্রাখটেনবার্গ, যিনি টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেছিলেন, ৩৯ বছর বয়সে মারা গেছেন। নিউ ইয়র্ক সিটি মেডিকেল পরীক্ষকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তার মৃত্যুর কারণ ছিল ডায়াবেটিসের জটিলতা। ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার প্রয়াণের খবরটি শোকের ছায়া ফেলেছে বিশ্বজুড়ে, বিশেষ করে তার অভিনয় জগতের সহকর্মীদের মধ্যে।

মিশেল ট্রাখটেনবার্গের অভিনয় জীবন শুরু হয়েছিল খুবই অল্প বয়সে। ছোটবেলাতেই তিনি বিভিন্ন বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনে কাজ করা শুরু করেন। এরপর তিনি জনপ্রিয় টেলিভিশন শো ‘দ্য অ্যাডভেঞ্চার্স অফ পিট অ্যান্ড পিট’-এ অভিনয় করেন। এছাড়াও, তিনি ‘অল মাই চিলড্রেন’ নামক একটি টেলিভিশন সিরিজেও কাজ করেছেন।

নব্বইয়ের দশকে তিনি ‘হারিয়েত দ্য স্পাই’ ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন, যা তাকে খ্যাতি এনে দেয়। এই ছবিতে তার সাথে রোজী ও’ডোনেল এবং জে স্মিথ-ক্যামেরনের মতো বিখ্যাত অভিনেতারাও ছিলেন। পরবর্তীকালে, তিনি ‘ইউরোট্রিপ’ এবং সমালোচক মহলে প্রশংসিত ‘মিস্টেরিয়াস স্কিন’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন।

‘মিস্টেরিয়াস স্কিন’ ছবিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি একবার বলেছিলেন, “আমি সাধারণত ঝলমলে, পিজি-থিমের কাজ করতাম। কিন্তু এখানে গ্রেগ আরাকি ছিলেন, যিনি ‘ডুম জেনারেশন’-এর পরিচালক। তার সঙ্গে কফি খেতে বসে আমি বলেছিলাম, ‘হয়তো আপনি আমাকে নেবেন না, তবে আমার এই অনুভবগুলো আছে। আপনি যদি সুযোগ দিতে রাজি থাকেন, তবে আমি আপনার সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।’ অভিনেত্রী হিসেবে এটা ছিল আমার জন্য দারুণ এক অভিজ্ঞতা।”

মিশেলের মৃত্যুতে তার সহকর্মীরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। ‘গসিপ গার্ল’–এ তার সহ-অভিনেত্রী ব্লেক লাইভলি শোক প্রকাশ করে বলেন, “মিশেল ছিলেন বিদ্যুতের মতো… তিনি যখন ঘরে ঢুকতেন, তখন যেন কম্পনটা বদলে যেত। তিনি যা করতেন, দুশো শতাংশ দিয়ে করতেন।”

এছাড়াও, জে স্মিথ-ক্যামেরন শোক প্রকাশ করে বলেন, “তিনি সবসময় আমার প্রতি খুবই আন্তরিক ছিলেন। তার চলে যাওয়াটা আমাকে হতবাক করেছে এবং আমি খুবই দুঃখিত।” ‘বাফি দ্য ভ্যাম্পায়ার স্লেয়ার’-এর প্রধান অভিনেত্রী সারাহ মিশেল গেলারও শোক প্রকাশ করে বলেন, “মিশেল, শোনো… আমি তোমাকে ভালোবাসি। সবসময় ভালোবাসব। এই পৃথিবীতে সবচেয়ে কঠিন কাজ হলো বেঁচে থাকা। আমি সাহসী হব। আমি তোমার জন্য বাঁচব।”

মিশেল ট্রাখটেনবার্গের অকাল প্রয়াণ অভিনয় জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি। তার অভিনয় এবং স্মৃতি সবসময় তার ভক্তদের হৃদয়ে অমলিন থাকবে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *