সন্তানদের নিয়ে মুখ খুললেন মিশেল, জীবনের সেরা মুহূর্ত নিয়ে কী বললেন?

মিশেল উইলিয়ামস: মা ও কর্মজীবনের এক অবিচ্ছেদ্য গল্প

বিখ্যাত অভিনেত্রী মিশেল উইলিয়ামস, যিনি তাঁর অনবদ্য অভিনয়শৈলীর জন্য সুপরিচিত, সম্প্রতি মা ও কর্মজীবনের মধ্যেকার সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন। জনপ্রিয় “আর্মচেয়ার এক্সপার্ট” পডকাস্টে (অনলাইন রেডিও অনুষ্ঠান) তিনি তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন।

এই কথোপকথনে উঠে এসেছে তাঁর চার সন্তানের প্রতি গভীর ভালোবাসা এবং কর্মজীবনের প্রতি তাঁর অঙ্গীকারের কথা।

মিশেল, যিনি বর্তমানে চার সন্তানের জননী, তাঁদের সঙ্গে কাটানো প্রতিটি মুহূর্তকে অত্যন্ত মূল্যবান মনে করেন।

তিনি বলেন, “আমার সন্তানদের সঙ্গে কাটানো একটি সাধারণ দিনও আমার কর্মজীবনের সেরা দিনের চেয়ে অনেক বেশি আনন্দের।” শিশুদেরকে তিনি ‘জীবনের শ্রেষ্ঠ পরীক্ষক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, কারণ তারা তাঁদের অভিভাবকদের ভালো মানুষ হিসেবে দেখতে চায়।

তিনি আরও যোগ করেন, “সন্তানদের উপেক্ষা করা যায় না, তবে নিজের জীবন, কাজ এবং আকাঙ্ক্ষাগুলোর প্রতিও মনোযোগ দিতে হয়। আসলে, একসঙ্গে দু’টোর প্রতিই সমান মনোযোগ দেওয়া কঠিন।”

অভিনেত্রী মনে করেন, একজন মা হিসেবে সন্তানদের দেখাশোনা করার পাশাপাশি নিজের কর্মজীবনকেও গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।

তিনি চান, তাঁর সন্তানরা দেখুক যে তিনি কাজ করছেন এবং একই সঙ্গে একটি পরিবারের দেখাশোনা করছেন। “আমি চাই আমার সব সন্তান দেখুক যে তাদের মা কাজ করছেন। তাই আমি কোনো কিছুই বেশি দিন অবহেলা করতে চাই না,” তিনি যোগ করেন।

মিশেলের প্রথম সন্তান, কন্যা মাটিলা, প্রয়াত অভিনেতা হিথ লেজারের ঔরসে জন্ম নেয়।

২০২০ সালে তিনি পরিচালক থমাস কাইলের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং তাঁদের আরও তিনটি সন্তান রয়েছে।

সন্তানদের মানুষ করার পাশাপাশি মিশেল তাঁর অভিনয় জীবনকেও সমান গুরুত্ব দিয়েছেন।

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে তিনি “দ্য ফেবলম্যানস” চলচ্চিত্রে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেছিলেন।

তিনি বলেছিলেন, “সন্তানদের জন্ম দেওয়া এবং তাদের লালন-পালন করা একটি অবিরাম প্রক্রিয়া।”

মিশেলের এই আলোচনা আমাদের সমাজে কর্মরত মায়েদের জন্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।

কর্মজীবী ​​মহিলারা প্রায়ই তাঁদের কর্মজীবন এবং পরিবারের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা করেন। মিশেলের এই অভিজ্ঞতা তাঁদের জন্য অনুপ্রেরণা যোগায়।

তিনি মনে করেন, ভারসাম্য বজায় রাখা একটি চলমান প্রক্রিয়া, যা গভীর চিন্তা, শিক্ষা এবং অন্যান্য নারীদের সমর্থন দিয়ে অর্জিত হতে পারে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *