যুদ্ধ-আতঙ্কে সুদ কমানো কঠিন? মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের প্রভাব!

মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক অস্থিরতা এবং ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড) সুদের হার কমানোর ক্ষেত্রে দ্বিধাগ্রস্ত হতে পারে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, যা ফেডের নীতিনির্ধারকদের জন্য উদ্বেগের কারণ।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতিমালার কারণেও ফেড ইতোমধ্যে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। বাণিজ্য ও অভিবাসন বিষয়ক ট্রাম্প প্রশাসনের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে মার্কিন অর্থনীতিতে কী প্রভাব পড়বে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। এমন পরিস্থিতিতে সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তা হিতে বিপরীত হতে পারে।

বর্তমানে, যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজার বেশ স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। মে মাসে, প্রত্যাশার চেয়ে বেশি, প্রায় ১ লাখ ৩৯ হাজার নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে এবং বেকারত্বের হার ৪.২ শতাংশে স্থিতিশীল রয়েছে। ফলে, ফেড সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য যথেষ্ট সময় পাচ্ছে।

তবে, পরিস্থিতি যদি দ্রুত খারাপের দিকে যায়, সেক্ষেত্রে ফেড সুদের হার কমাতে পারে। যদিও তেলের দাম বেশি থাকে, তবুও যদি মার্কিন অর্থনীতিতে বড় ধরনের মন্দা দেখা দেয়, তাহলে এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থনীতিবিদরা একে ‘খারাপ সংবাদের’ কারণে সুদের হার কমানো হিসেবে দেখছেন।

ওয়েলস ফার্গোর প্রধান অর্থনীতিবিদ জে ব্রাইসন মনে করেন, মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত বাড়লে তেলের দাম আরও বাড়তে পারে, যা সামগ্রিক মূল্যস্ফীতিকে প্রভাবিত করবে। তবে গ্রীষ্মের শেষ নাগাদ, কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার কমে যেতে পারে। নভেম্বরের মধ্যে ফেডারেল অনেক কর্মচারী তাদের চাকরি হারাতে পারেন। এমন পরিস্থিতিতে সুদের হার কমানোর প্রয়োজন হতে পারে।

বাজার বিশ্লেষকদের ধারণা, আগামী অক্টোবর মাসে ফেড সুদের হার কমাতে পারে। ফেডারেল রিজার্ভের পক্ষ থেকে আগামী সপ্তাহে সুদের হার সংক্রান্ত নতুন পূর্বাভাস দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে সুদের হার কমানো হবে কিনা, সে বিষয়ে একটি ধারণা পাওয়া যেতে পারে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *