সামরিক স্ত্রীদের ত্যাগ: যা তারা বলতে চায়!

শিরোনাম: সৈনিকদের অর্ধাঙ্গিনীদের ত্যাগ: নীরব যোদ্ধাদের প্রতি সম্মান

যুদ্ধক্ষেত্রে সৈনিকদের বীরত্ব, আত্মত্যাগ সবসময়ই আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। কিন্তু তাদের পরিবারের, বিশেষ করে তাদের জীবনসঙ্গিনীদের অবদান অনেকের কাছেই অজানা থেকে যায়।

সামরিক বাহিনীর সদস্যদের প্রতি উৎসর্গীকৃত একটি বিশেষ দিনের কথা উল্লেখ করে, বিশ্বজুড়ে সামরিক পরিবারের স্ত্রীদের প্রতি সম্মান জানানো হয়। এই দিনটি উপলক্ষ্যে, তাঁদের কঠিন জীবন এবং ত্যাগের কিছু দিক তুলে ধরা হলো।

সামরিক বাহিনীর সদস্যদের জীবন সবসময় অনিশ্চয়তায় ভরা। তাঁদের অনুপস্থিতিতে পরিবারকে আগলে রাখার গুরু দায়িত্ব পালন করেন তাঁদের স্ত্রীরা। সৈন্যদের মানসিক শান্তির জন্য তাঁরা এক কঠিন ‘মানসিক যুদ্ধের’ সম্মুখীন হন।

যুদ্ধের খবর, কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার আশঙ্কা, এই সবকিছু তাঁদের উদ্বেগের কারণ হয়। খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা জানতে চান তাঁদের প্রিয়জন নিরাপদে আছেন কিনা।

এই উদ্বেগের মধ্যে তাঁরা একা হাতে সংসার সামলান, সন্তানদের দেখাশোনা করেন।

প্রায়ই তাঁদের নতুন জায়গায়, অচেনা পরিবেশে, কোনো পরিচিতজন ছাড়াই জীবন শুরু করতে হয়। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বদলি হওয়ার কারণে তাঁদের শিকড় গাড়তে সমস্যা হয়।

অনেক সময় শিশুদের স্কুলের জরুরি ফর্ম পূরণ করার সময় প্রতিবেশী বা অপরিচিত কারও সাহায্য নিতে হয়। এটি তাঁদের জন্য এক কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করে।

কিন্তু এই প্রতিকূলতা সত্ত্বেও, সামরিক পরিবারের স্ত্রীরা তাঁদের জীবনকে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলেন। তাঁরা একাধারে সংসার চালান, সন্তানদের মানুষ করেন এবং নিজেদের কর্মজীবনও সামলান।

তাঁদের এই অদম্য মানসিকতা ও কঠোর পরিশ্রম সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।

বিভিন্ন সংগঠন, যেমন ‘দি স্টেশন ফাউন্ডেশন’, সামরিক বাহিনীর সদস্যদের এবং তাঁদের পরিবারকে সহায়তা করে থাকে। এই ধরনের সংস্থাগুলো তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং সমাজে পুনরায় একত্রিত হতে সাহায্য করে।

এই ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর শ্যানন স্ট্যাসি জানিয়েছেন, বিশেষ করে সৈন্যদের স্ত্রীরা তাঁদের ব্যক্তিগত গল্পগুলো বলার জন্য একটি নিরাপদ স্থান খুঁজে পান না।

সামরিক পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমর্থন জানানোর অনেক উপায় আছে। তাঁদের পাশে দাঁড়ানো যায়, তাঁদের সন্তানদের প্রতি খেয়াল রাখা যায়, অথবা সামান্য সহযোগিতা করা যায়।

যেমন, কোনো সামরিক পরিবারের সদস্যদের সাথে একসাথে বসে খাবার খাওয়া যেতে পারে, শিশুদের স্কুলে পৌঁছে দেওয়া যেতে পারে, অথবা তাদের কোনো কাজে সাহায্য করা যেতে পারে।

ছোট ছোট এই কাজগুলো তাঁদের কাছে অনেক মূল্যবান। কারণ, এর মাধ্যমে তাঁদের আত্মত্যাগ এবং পরিবারের প্রতি তাঁদের ভালোবাসার প্রতি সম্মান জানানো হয়।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *