মিল্টন জোন্সের মুখে মৃত্যুর কাছাকাছি আসার অভিজ্ঞতা! শুনে হাসতে হাসতে পেট ব্যথা!

বিখ্যাত ব্রিটিশ কমেডিয়ান মিলটন জোনস, যিনি তাঁর তীক্ষ্ণ বুদ্ধি এবং অভিনব কৌতুক শৈলীর জন্য সুপরিচিত, বর্তমানে তাঁর কৌতুক সফর নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ষাট বছর বয়সী এই কৌতুক অভিনেতা, যিনি ১৯৯৬ সালে এডিনবার্গে সেরা নবাগত হিসেবে পুরষ্কার জিতেছিলেন, তাঁর কৌতুক জগতে পথচলার নানা দিক নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন।

তাঁর রেডিও শো, যেমন ‘আই’ম সরি আই হ্যাভেন্ট এ ক্লু’ (I’m Sorry I Haven’t a Clue) এবং ‘মক দ্য উইক’-এর মতো অনুষ্ঠানে নিয়মিতভাবে কাজ করার সুবাদে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।

মিলটন জোনস একাধারে লেখকও। ‘হোয়্যার ডু কমেডিয়ানস গো व्हेন দে डाई?’ (Where Do Comedians Go When They Die?) এবং ‘টেন সেকেন্ড সারমনস’ (10 Second Sermons)-এর মতো বইয়ের মাধ্যমে তিনি পরিচিতি লাভ করেছেন।

তাঁর কৌতুক সফর ‘হা! মিলটন’ (Ha! Milton) নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত চলবে। লন্ডনে বসবাসকারী মিলটন বিবাহিত এবং তাঁর তিনটি সন্তান রয়েছে।

একটি সাক্ষাৎকারে, জোনস তাঁর জীবনের নানা দিক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত ছিল যখন তিনি দুজন প্রাইভেট ডিটেকটিভ নিয়োগ করেছিলেন এবং তাদের পরস্পরের ওপর নজর রাখার ব্যবস্থা করেছিলেন।

তাঁর মতে, একটি চিরুনি তাঁর সবচেয়ে বড় ভয়। তিনি আরও বলেন, নিজের মধ্যে তিনি যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করেন, তা হলো সবকিছুকে কৌতুক হিসেবে উপস্থাপন করার প্রবণতা।

কৌতুক জগতের বাইরে, মিলটন তাঁর সন্তানদের বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ জুগিয়েছেন, যা তাঁর মতে একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন।

তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় ভালোবাসা তাঁর স্ত্রী ক্যারল, যাঁর সঙ্গে তাঁর ৪৪ বছরের দাম্পত্য জীবন। জোনস জানান, তিনি মাঝেমধ্যেই রাজনৈতিক আলোচনা শুনে নিজের মতামত পরিবর্তন করেন।

যখন তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, মৃত্যুর কাছাকাছি তিনি কখন গিয়েছিলেন, তিনি উত্তর দেন, “যখন জেমস অ্যাকেস্টারের (James Acaster) কাছ থেকে লিফট নেওয়ার প্রস্তাব পেয়েছিলাম।” এই উত্তরে তাঁর কৌতুকবোধের পরিচয় পাওয়া যায়।

মিলটন জোনস তাঁর কৌতুক এবং রসবোধের মাধ্যমে দর্শকদের হাসাতে ভালোবাসেন। তাঁর মতে, দর্শকদের হাসিমুখ অথবা তাদের ভ্রু কুঁচকে তাকানো— দুটোই তাঁর ভালো লাগে।

তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *