হলিউডে ‘মাইনক্রাফট’ ঝড়: বক্স অফিসে নতুন রেকর্ড!

হলিউডে ‘এ মাইনক্রাফট মুভি’: বক্স অফিসে বাজিমাত, স্বস্তি ফিরল চলচ্চিত্র জগতে।

চলচ্চিত্র প্রেমীদের জন্য দারুণ সুখবর! বিশ্বজুড়ে মুক্তি পাওয়া ‘এ মাইনক্রাফট মুভি’ বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে। মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই সিনেমাটি আয় করেছে প্রায় ৩,৩০০ কোটি টাকার বেশি (প্রায় $301 মিলিয়ন)।

শুধু তাই নয়, এই সাফল্যের ফলে ২০২৩ সালের শুরুতে খানিকটা হতাশায় ভোগা হলিউড যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচল।

যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় সিনেমাটি মুক্তির প্রথম সপ্তাহে আয় করেছে ১,৭১৫ কোটি টাকার বেশি (প্রায় $157 মিলিয়ন)।

আন্তর্জাতিক বাজারেও এর প্রভাব লক্ষণীয়, যেখানে সিনেমাটি আরও ১৫৮৫ কোটি টাকার (প্রায় $144 মিলিয়ন) ব্যবসা করেছে।

সিনেমাটির এই অভাবনীয় সাফল্যে উচ্ছ্বসিত প্রযোজনা সংস্থা ওয়ার্নার ব্রোস।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘এ মাইনক্রাফট মুভি’ শুধু একটি সিনেমা নয়, এটি যেন হলিউডের জন্য নতুন দিগন্তের সূচনা।

কারণ, মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই এটি সবচেয়ে বেশি আয় করা ভিডিও গেম নির্ভর সিনেমার রেকর্ড গড়েছে। এর আগে এই রেকর্ডটি ছিল ‘সুপার মারিও ব্রোস মুভি’র দখলে।

পরিচালক জ্যারেড হেসের (Jared Hess) পরিচালনায় নির্মিত এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন জ্যাক ব্ল্যাক, জেসন মোমোয়া, ড্যানিয়েল ব্রুকস, এমা মায়ার্স এবং সেবাস্তিয়ান ইউজিন হ্যানসেনের মতো তারকারা।

সিনেমাটির গল্প অনুযায়ী, চরিত্রগুলো ওভারওয়ার্ল্ড নামক এক কাল্পনিক জগতে প্রবেশ করে এবং সেখান থেকে নিজেদের বাড়িতে ফিরতে এক কঠিন অভিযানে নামে।

সিনেমাটির গল্প বিন্যাস এবং নির্মাণশৈলী দর্শকদের মন জয় করেছে।

সিনেমাটির টিকিট কেনার জন্য সিনেমাহলগুলোতে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। সিনেমাপ্রেমীদের মতে, এটি একটি উপভোগ্য সিনেমা, যা পরিবারসহ সবাই মিলে দেখতে পারে।

হলিউডের চলচ্চিত্র বিশ্লেষকদের মতে, সাধারণত একটি সিনেমার সাফল্যের পেছনে অনেকগুলো কারণ থাকে। ‘এ মাইনক্রাফট মুভি’র ক্ষেত্রে এর জনপ্রিয়তা, আকর্ষণীয় গল্প এবং শক্তিশালী অভিনয়শিল্পীদের সমন্বয়ে এটি দর্শকদের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছে।

বক্স অফিসের শীর্ষ স্থান ধরে রাখতে পারা সিনেমাগুলোর মধ্যে ‘এ মাইনক্রাফট মুভি’ ছাড়াও রয়েছে ‘এ ওয়ার্কিং ম্যান’, ‘দ্য চোজেন: লাস্ট সাপার – পার্ট ২’ এবং ‘স্নো হোয়াইট’-এর মতো সিনেমা।

চলচ্চিত্র জগতে এমন সাফল্যের ধারা অব্যাহত থাকলে, তা নিঃসন্দেহে প্রযোজক ও দর্শকদের জন্য দারুণ সুখবর।

কারণ, সিনেমার ব্যবসা সফল হলে, তা নতুন নতুন ভালো সিনেমা নির্মাণের পথ খুলে দেয়।

তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *