আতঙ্ক! আটকা পড়া মিনকে তিমি: মর্মান্তিক পরিণতি!

শিরোনাম: সান ফ্রান্সিসকো উপসাগরে বিরল তিমিকে বাঁচানো গেল না, গভীর উদ্বেগে পরিবেশবিদরা।

ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকো উপসাগরে একটি বিরল প্রজাতির মিনক তিমি আটকা পড়েছিল, যার ফলে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। গত মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, এই ঘটনাটি ঘটে, যা পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মধ্যে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।

মেরিন ম্যামাল সেন্টার জানিয়েছে, একটি অল্পবয়সী মিনক তিমি এমেরিভিলে মেরিনার কাছে অগভীর জলে আটকা পড়েছিল। প্রথমে এটি কাদায় আটকে গেলেও শান্ত ছিল। কিন্তু পরে, তিমিটিকে আর মুক্ত করা সম্ভব হয়নি।

তাদের মতে, তিমিটির বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম ছিল এবং সে কারণে তারা কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন। মানবিক কারণে তিমিটিকে মেরে ফেলা হয়।

সংস্থাটি জানিয়েছে, “আমরা চেয়েছিলাম ভিন্ন কিছু, কিন্তু এই তিমিটির জন্য এটাই ছিল সেরা। এর ময়নাতদন্তের পরিকল্পনা করা হয়েছে, তবে ফলাফল কয়েক সপ্তাহ পরে পাওয়া যাবে। তিমিটিকে ভালো অবস্থায় দেখা গেছে, তবে তার চামড়া কিছুটা উঠে যাচ্ছিল, যা সম্ভবত সূর্যের তাপের কারণে হয়েছিল।”

মেরিন ম্যামাল সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৬ বছরে এই অঞ্চলে মিনক তিমি দেখা যাওয়ার ঘটনা এটি পঞ্চম।

অন্যদিকে, গত কয়েক দিনে সান ফ্রান্সিসকো উপসাগরে আরও তিনটি ধূসর তিমির মৃতদেহ পাওয়া গেছে। প্রথম মৃত তিমিটিকে গত ২৯শে মার্চ আলকাট্রাজ দ্বীপের কাছে ভাসতে দেখা যায়।

মেরিন ম্যামাল সেন্টার জানিয়েছে, “এই তিমিটি ওজনে কম ছিল, তবে মৃত্যুর কারণ এখনো অজানা। আমরা আরও পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করছি।”

৪ এপ্রিল, শুক্রবার, সংস্থাটি জানায়, আরও দুটি মৃত ধূসর তিমি পাওয়া গেছে। তাদের ময়নাতদন্তের পর জানা গেছে, অ্যাঞ্জেল আইল্যান্ডে পাওয়া একটি প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ তিমির পাকস্থলী খাবার দিয়ে পূর্ণ ছিল, অর্থাৎ সে সম্প্রতি খাবার খেয়েছিল।

প্রাথমিকভাবে, জাহাজের ধাক্কার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি, তবে মৃতদেহটি পুনরায় পরীক্ষা করা হবে।

অন্যদিকে, ফোর্ট পয়েন্টে পাওয়া একটি কম বয়সী পুরুষ তিমির মেরুদণ্ডে ছয়টি ফাটল ছিল এবং এর আশেপাশে রক্তক্ষরণও হয়েছিল। মেরিন ম্যামাল সেন্টারের মতে, এটি জাহাজের ধাক্কার কারণে হতে পারে, যা ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলের তিমিদের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ।

মেরিন ম্যামাল সেন্টারের cetacean conservation biology পরিচালক ক্যাথি জর্জ এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “উপসাগরটি বাণিজ্যিক কাজকর্ম এবং তিমিদের বিচরণের একটি সাধারণ স্থান। তাই, বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে শুরু করে ছোট ছোট নৌকাচালকদের পর্যন্ত সকলেরই তিমি সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে এবং কোনো তিমির উপস্থিতি দেখলে অবশ্যই গতি কমাতে হবে।”

তথ্য সূত্র: আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এবং মেরিন ম্যামাল সেন্টার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *