মিনেসোটা হত্যাকাণ্ড: বন্দুকধারীর ধর্ম ও রাজনৈতিক পরিচয়, স্তম্ভিত সবাই!

যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যে প্রাক্তন এক জনপ্রতিনিধি এবং তাঁর স্বামীর ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তির রাজনৈতিক ও ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক হওয়া ভ্যান্স লুথার বোয়েলটার নামের ৫৬ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও পরিচিতজনদের সূত্রে জানা গেছে, তিনি ছিলেন কট্টর রক্ষণশীল এবং গভীর ধার্মিক।

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, বোয়েল্টার প্রাক্তন হাউজ স্পিকার মেলিসা হোর্টম্যান ও তাঁর স্বামী এবং রাজ্যের এক সিনেটরের ওপর হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত। হামলায় গুরুতর আহত হন সিনেটর জন হফম্যান ও তাঁর স্ত্রী।

এই ঘটনার তদন্তে নেমে বোয়েল্টারকে গ্রেপ্তারের পর তাঁর রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে নতুন তথ্য উঠে আসে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বোয়েল্টার নিজেকে রিপাবলিকান হিসেবে পরিচয় দিতেন এবং প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক ছিলেন। তিনি প্রায়ই ধর্মীয় আলোচনায় অংশ নিতেন এবং মিশনারি হিসেবে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে কাজ করেছেন।

সেখানে তিনি একবার এক বক্তব্যে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে অনেক চার্চ গর্ভপাতের বিরুদ্ধে সোচ্চার নয়, যা উদ্বেগের বিষয়।

বোয়েল্টারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং সহকর্মীরা জানান, তিনি সাধারণত রাজনৈতিক বিষয়ে তেমন কথা বলতেন না, তবে তাঁর মধ্যে রক্ষণশীল মানসিকতা ছিল। তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে আলোচনা করতেন।

ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি তাঁর কয়েকজন রুমমেটকে একটি বার্তা পাঠিয়েছিলেন, যেখানে তিনি তাঁর উদ্বেগের কথা জানান এবং তাদের প্রতি ভালোবাসার কথা ব্যক্ত করেন।

তদন্তকারীরা বোয়েল্টারের বাড়ি থেকে একটি গাড়ি উদ্ধার করেছেন, যা দেখতে পুলিশের গাড়ির মতো ছিল। গাড়িতে কিছু প্রচারপত্র পাওয়া গেছে, যেখানে স্থানীয় একটি রাজনৈতিক সমাবেশের কথা উল্লেখ ছিল।

এছাড়াও, তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া একটি খাতায় কয়েকজন আইনপ্রণেতা এবং গর্ভপাত অধিকার বিষয়ক কর্মীদের নাম পাওয়া গেছে।

বোয়েল্টার দীর্ঘদিন ধরে একটি নিরাপত্তা সংস্থায় কাজ করতেন এবং বিভিন্ন সময়ে নিরাপত্তা বিষয়ক ঠিকাদার হিসেবেও কাজ করেছেন। যদিও তাঁর পরিচিতদের অনেকেই জানিয়েছেন যে তিনি সাধারণত শান্ত ও মিশুক প্রকৃতির মানুষ ছিলেন।

এই ঘটনার পেছনের আসল কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। ঘটনার তদন্ত চলছে এবং কর্তৃপক্ষ বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করছে।

তথ্য সূত্র: এ্যাসোসিয়েটেড প্রেস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *