বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে নারী ফুটবলের অগ্রযাত্রা: মিশরের দৃষ্টান্ত
ফুটবল খেলার প্রতি মেয়েদের আগ্রহ বাড়ছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে তাদের সাফল্যের সম্ভাবনা। মিশরের নারীদের ফুটবল খেলার জগৎটাও এখন পরিবর্তনের পথে। একসময় যেখানে মেয়েদের খেলাধুলা করাটা সহজ ছিল না, সেখানে এখন দৃশ্যপট বদলাচ্ছে।
দেশটির নারী ফুটবল লিগ এখন টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত হচ্ছে, যা নিঃসন্দেহে একটি বড় পরিবর্তন।
মিশরের নারী ফুটবল ইতিহাসে, একটা সময় ছিল যখন খেলাটা ছিল কেবল ছেলেদের জন্য। গ্যালারিতে বসে খেলা দেখার সুযোগ পেতেন না অনেক নারী। সেই ধারণা ভেঙে এখন মেয়েরা মাঠে নামছে, খেলছে, এবং তাদের খেলা টেলিভিশনে দেখা যাচ্ছে।
আল আহলি ও জামালেক-এর মতো বড় ক্লাবগুলোও এখন নারী দল গঠন করেছে। ফিফার নিয়ম মেনেই তারা এটা করেছে, তবে এর পেছনে নারীদের খেলাধুলার সম্ভাবনা ও শক্তির প্রতি ক্রমবর্ধমান সচেতনতাও কাজ করেছে।
একটা সময় ছিল, যখন মেয়েদের খেলাধুলায় উৎসাহিত করা হতো না। সমাজের চোখে ফুটবল ছিল ছেলেদের খেলা, আর মেয়েদের স্থান ছিল ঘরের ভেতরে। কিন্তু পরিস্থিতি এখন ধীরে ধীরে পাল্টাচ্ছে। অনেক বাবা-মা এখন তাদের মেয়েদের খেলাধুলায় উৎসাহিত করছেন।
এর কারণ, খেলাধুলায় মেয়েদের অংশগ্রহণের গুরুত্ব এখন মানুষ বুঝতে শুরু করেছে।
এই পরিবর্তনের পেছনে সাহার এল-হাওয়ারির মতো কিছু মানুষের অবদান অনস্বীকার্য। তিনি মিশরের ফুটবল ফেডারেশনের সদস্য ছিলেন এবং নারী ফুটবলের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
তিনি ফিফার সঙ্গে আলোচনা করে ক্লাবগুলোকে নারী দল গঠনে উৎসাহিত করেছেন।
এই পরিবর্তনের ফলে, ইমান হাসান এবং লাইলা এল বেহেরির মতো খেলোয়াড়রা আন্তর্জাতিক ক্লাবগুলোতে খেলার সুযোগ পেয়েছে। “১০০০ গার্লস, ১০০০ ড্রিমস” -এর মতো বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় মেয়েদের ক্ষমতায়ন করা হচ্ছে।
এই প্রোগ্রামগুলোর মাধ্যমে মেয়েদের খেলাধুলার সুযোগ বাড়ছে।
তবে, এই পথটা সহজ ছিল না। অনেক বাধা পেরিয়ে আসতে হয়েছে তাদের। সমাজের রক্ষণশীলতা, পরিবারের সমর্থনহীনতা—এসবের বিরুদ্ধে লড়তে হয়েছে।
কিন্তু তারা হাল ছাড়েনি। তাদের একাগ্রতা এবং ভালোবাসাই তাদের এগিয়ে নিয়ে গেছে।
নারীদের ফুটবল খেলার ধারণা সম্প্রতি উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। এখন এটা আরও দৃশ্যমান। এখনো পুরুষদের খেলার মতো জনপ্রিয়তা পায়নি, তবে আগ্রহ বাড়ছে।
অনেকে মনে করতেন ফুটবল মেয়েদের খেলা নয়। অনেকেই বিশ্বাস করতেন মেয়েদের স্থান খেলার মাঠে নয়, বরং বাড়িতে।
তবে এখন দৃশ্যপট পাল্টাচ্ছে। খেলাধুলায় মেয়েদের অংশগ্রহণ বাড়ছে, যা নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক দিক। খেলাধুলায় নারীদের এই অগ্রযাত্রা শুধু মিশরের নয়, বরং সারা বিশ্বের মেয়েদের জন্য অনুপ্রেরণা।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা