শিরোনাম: মিশরের লোহিত সাগরে পর্যটকদের ডুবোজাহাজডুবি, নিহত ৬ রুশ নাগরিক
বৃহস্পতিবার, মিশরের লোহিত সাগরে একটি পর্যটন ডুবোজাহাজডুবির ঘটনা ঘটেছে। হুরghাডার উপকূলের কাছে, সিনবাদ সাবমেরিনস নামক একটি বেসরকারি কোম্পানির ডুবোজাহাজটি পানির নিচে পর্যটকদের সমুদ্রের তলার দৃশ্য দেখানোর সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত হয়েছেন, যাদের সবাই রাশিয়ার নাগরিক।
জানা গেছে, ডুবোজাহাজটিতে মোট ৫০ জন যাত্রী ছিলেন, যাদের মধ্যে ৪৫ জন পর্যটক এবং ৫ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। রাশিয়ার কনস্যুলেট জেনারেল নিশ্চিত করেছে যে নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের সদস্যও রয়েছেন।
অন্যান্য নিহতদের মধ্যে দুইজন শিশু এবং চারজন বয়স্ক ব্যক্তি ছিলেন। কর্তৃপক্ষের মতে, আহত ২৯ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা গুরুতর।
ঘটনার পর দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। মিশরের কোস্টগার্ড ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার কাজে যোগ দেয়। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং অন্যদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়।
প্রাথমিকভাবে, ডুবোজাহাজডুবির কারণ সম্পর্কে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, রাশিয়ার ট্যুর অপারেটরদের একটি সংস্থা টেলিগ্রামে জানিয়েছে যে, সম্ভবত সমুদ্রের তলদেশে একটি প্রবালের সঙ্গে ধাক্কা লাগার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এর ফলে জাহাজের চাপ কমে যায় এবং পানি ঢুকতে শুরু করে।
ডুবোজাহাজটির প্রস্তুতকারক ফিনল্যান্ড থেকে জানিয়েছে যে, এটি পানির নিচে প্রায় ৭৫ মিটার গভীরতা পর্যন্ত চাপ সহ্য করতে সক্ষম। জাহাজের ওয়েবসাইটে জরুরি অবস্থার জন্য অক্সিজেন মাস্ক এবং সিটের নিচে লাইফ ভেস্টের ব্যবস্থা থাকার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
এই ঘটনার পর, পর্যটন শিল্পে নিরাপত্তা মান নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে ডুবোজাহাজ এবং সাবমার্সিবলগুলির নিরাপত্তা নিরীক্ষা ও নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
এর আগে, ২০২৩ সালের জুন মাসে কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূলের কাছে টাইটান নামক একটি সাবমার্সিবল (পর্যটকদের জন্য ব্যবহৃত ছোট ডুবোযান) ডুবতে গিয়ে ৫ জন নিহত হয়েছিল।
এই ঘটনার তদন্ত এখনো চলছে। কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে সব ধরনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা