একটি মর্মান্তিক ঘটনায়, যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যে এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ফ্রেডারিক উইগিংটন জুনিয়র নামের ওই ব্যক্তি তার স্ত্রী এলসি উইগিংটনের (৪৫) হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
এলসির মরদেহ এক বছর পর তাদের বাড়ির পেছনের কংক্রিটের নিচে পুঁতে রাখা অবস্থায় পাওয়া যায়।
২০২৩ সালের ২৬শে জুন এলসি নিখোঁজ হন। এরপর দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর, ২০২৪ সালের ১৪ই আগস্ট, অ্যামহার্স্ট কাউন্টিতে তাদের বাসস্থানের একটি স্থানে তার দেহাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়।
ঘটনার তদন্তে জানা যায় এলসি তার স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের চেষ্টা করছিলেন এবং তার জীবন নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন। মৃত্যুর আগে তিনি তার এক আত্মীয়কে টেক্সট মেসেজে জানিয়েছিলেন, “সে আমাকে মেরে ফেলবে।
তদন্তে আরও জানা যায়, এলসির প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে ফ্রেডারিকের সম্পর্ক ছিল এবং এলসি নিখোঁজ হওয়ার সময় তিনি তাদের সঙ্গেই থাকতেন।
এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ফ্রেডারিকের প্রাক্তন স্ত্রী প্যাট্রিসিয়া উইগিংটনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ন্যায়বিচারের পথে বাধা এবং অপরাধীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এলসি পেশায় একজন নার্স ছিলেন এবং অ্যামহার্স্টের একটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরিবারের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ এলসি দুই সন্তানের মা ছিলেন এবং নাতি-নাতনিদের খুব ভালোবাসতেন।
এলসির পরিবার তার স্মৃতিচারণ করে জানায়, তিনি ছিলেন একজন পরোপকারী মানুষ এবং সমাজের দরিদ্র ও অসহায় মানুষের জন্য নিবেদিত ছিলেন। তার পরিবার একটি অনলাইন ফান্ড সংগ্রহের মাধ্যমে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছে এবং তাদের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছে।
এই ঘটনার বিচারে, ফ্রেডারিক উইগিংটন জুনিয়রকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। আদালত সূত্রে জানা যায়, তিনি পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিলেন।
তথ্য সূত্র: People