কোন মিশন: ইম্পসিবল ছবিটি সবচেয়ে আকর্ষণীয়? আলোচনা!

শীর্ষ action চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে ‘মিশন: ইম্পসিবল’ একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি, যা দর্শকদের মাঝে ব্যাপক পরিচিত। এই সিনেমাগুলি শুধুমাত্র শ্বাসরুদ্ধকর অ্যাকশন দৃশ্য এবং আকর্ষণীয় গল্পের জন্যই বিখ্যাত নয়, বরং অভিনেতা টম ক্রুজের অসাধারণ অভিনয়শৈলীর কারণেও দর্শক হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে।

বিশ্বজুড়ে এই সিনেমাগুলি বক্স অফিসে যেমন সাফল্য পেয়েছে, তেমনই সমালোচকদেরও প্রশংসা কুড়িয়েছে। আসুন, এই সিরিজের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সিনেমা নিয়ে আলোচনা করা যাক।

প্রথম ছবি, ‘মিশন: ইম্পসিবল’ (১৯৯৬), দিয়ে এই সিরিজের যাত্রা শুরু হয়। ব্রায়ান ডি পালমা পরিচালিত এই ছবিতে ইথান হান্ট নামক একজন এজেন্টের গল্প বলা হয়েছে, যিনি তার দলের সদস্যদের হত্যার দায়ে অভিযুক্ত হন।

সিনেমাটিতে ক্লাসিক ‘ফিল্ম নয়ার’-এর বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান, যেখানে সাসপেন্স এবং অপ্রত্যাশিত মোড় দর্শকদের আকৃষ্ট করে। টম ক্রুজের অভিনয় এবং সিনেমার টানটান উত্তেজনা দর্শকদের ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিল।

এরপর আসে ‘মিশন: ইম্পসিবল ২’ (২০০০)। জন উ পরিচালিত এই ছবিতে আগের চেয়ে আরও বেশি অ্যাকশন এবং স্টান্টের দৃশ্য ছিল। টম ক্রুজকে এখানে একজন সাহসী অ্যাকশন হিরো হিসেবে দেখা যায়।

সিনেমার দ্রুতগতির দৃশ্য এবং বিস্ফোরক অ্যাকশন দর্শকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে।

‘মিশন: ইম্পসিবল ৩’ (২০০৬) ছবিতে ইথান হান্টের ব্যক্তিগত জীবনের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। এই ছবিতে তিনি তার বাগদত্তা জুলিয়ার সাথে একটি সাধারণ জীবন যাপন করতে চান, কিন্তু তার অতীত তাকে তা করতে দেয় না।

জে.জে. আব্রাহামস পরিচালিত এই ছবিটি টম ক্রুজের ক্যারিয়ারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সিনেমার গল্পে গভীরতা যোগ করার পাশাপাশি, এখানে অ্যাকশন দৃশ্যগুলিও ছিল অত্যন্ত আকর্ষণীয়।

‘মিশন: ইম্পসিবল – ঘোস্ট প্রোটোকল’ (২০১১) সিরিজের চতুর্থ ছবি। ব্র্যাড বার্ড পরিচালিত এই ছবিতে বুর্জ খলিফায় (Burj Khalifa) টম ক্রুজের ঝুঁকিপূর্ণ স্টান্ট দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।

অ্যাকশন দৃশ্যগুলির নতুনত্ব এবং গল্পের ধারাবাহিকতা এই সিনেমাটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।

‘মিশন: ইম্পসিবল – রোগ নেশন’ (২০১৫) ছবিতে ক্রিস্টোফার ম্যাককোয়ারি পরিচালনা করেন। এখানে ইথান হান্ট এবং তার দলের সদস্যদের একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করতে দেখা যায়।

আন্ডারওয়াটার দৃশ্যের জটিলতা এবং ভিয়েনা অপেরা হাউসের আকর্ষণীয় দৃশ্য দর্শকদের মুগ্ধ করে।

‘মিশন: ইম্পসিবল – ফলআউট’ (২০১৮) ছবিতে ক্রিস্টোফার ম্যাককোয়ারি আবারও পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন। এই ছবিতে শ্বাসরুদ্ধকর অ্যাকশন দৃশ্যের পাশাপাশি গল্পের গভীরতাও ছিল।

প্যারিস এবং লন্ডনের রাস্তায় অ্যাকশন দৃশ্যগুলি দর্শকদের বিশেষভাবে আকৃষ্ট করে।

সর্বশেষ ছবি ‘মিশন: ইম্পসিবল – ডেড রেকনিং পার্ট ওয়ান’ (২০২৩)। এই ছবিতে একটি ট্রেনের দৃশ্যে মারাত্মক অ্যাকশন এবং স্টান্ট দর্শকদের জন্য অন্যতম আকর্ষণ ছিল।

গল্পের ধারাবাহিকতা এবং টম ক্রুজের অসাধারণ অভিনয় এই সিনেমাটিকে আরও বেশি উপভোগ্য করে তোলে।

‘মিশন: ইম্পসিবল’ ফ্র্যাঞ্চাইজি বিশ্বজুড়ে অ্যাকশন সিনেমার দর্শকদের জন্য একটি বিশেষ আকর্ষণ। সিনেমাগুলির দুর্দান্ত গল্প, অসাধারণ সব স্টান্ট এবং টম ক্রুজের অসাধারণ অভিনয় এই সিরিজটিকে আরও অনেক বছর দর্শকদের মনে গেঁথে রাখবে।

তথ্যসূত্র: The Guardian

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *