মিশন ইম্পসিবল: হতাশায় ভরা, কেন ৮ম কিস্তি দর্শকদের মন জয় করতে পারল না?

সিনেমা জগৎ-এ বহু প্রতীক্ষিত ‘মিশন: ইম্পসিবল’ সিরিজের অষ্টম ছবি, ‘মিশন: ইম্পসিবল – ডেড রেকনিং পার্ট ওয়ান’ মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই দর্শকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। টম ক্রুজ অভিনীত এই সিনেমাটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে সর্বত্র।

অনেকেই বলছেন, আগের ছবিগুলোর মতো আকর্ষণ এই ছবিতে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সমালোচকদের একাংশ মনে করছেন, ছবিটির গল্প বলার ধরন এবং দৃশ্যগ্রহণে কিছু দুর্বলতা রয়েছে।

নব্বইয়ের দশকে ব্রায়ান ডি পালমার পরিচালনায় ‘মিশন: ইম্পসিবল’ মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই এই সিরিজটি দর্শকদের মন জয় করে নেয়। এরপর জন উ, ব্র্যাড বার্ডের মতো পরিচালকদের হাত ধরে এটি আরও জনপ্রিয় হয়।

বিশেষ করে, ২০১১ সালের ‘মিশন: ইম্পসিবল – ঘোস্ট প্রোটোকল’ ছবিতে টম ক্রুজের বুর্জ খলিফার পাশে ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যগুলো দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। কিন্তু সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ছবিগুলোতে গল্পের গভীরতা বাড়ানোর দিকে বেশি মনোযোগ দেওয়া হয়েছে, যা অনেক দর্শকের কাছে একঘেয়ে লেগেছে।

ছবিটির দুর্বলতা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে সমালোচকরা বলছেন, আগের ছবিগুলোতে অ্যাকশন দৃশ্যের যে ঘনঘটা দেখা যেত, তা যেন অনেকটাই কমে গেছে। গল্পের বিস্তার ঘটাতে গিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো ছবিতে সেভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়নি।

এমনকি খলনায়কদের চরিত্রও সেভাবে শক্তিশালী করা হয়নি, যা দর্শকদের হতাশ করেছে।

ছবিটিতে অভিনয় করেছেন রেবেকা ফার্গুসন, ভ্যানেসা কিরবি এবং হেইলি অ্যাটওয়েলের মতো তারকারা। তাদের চরিত্রগুলো যথাযথভাবে চিত্রিত হয়নি বলেও অনেকে মনে করেন।

এই ছবিতে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ভিলেন হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে, কিন্তু সেটির গভীরতা তেমনভাবে দেখা যায় না।

তবে, টম ক্রুজের অভিনয় নিয়ে তেমন কোনো প্রশ্ন নেই। তিনি বরাবরের মতোই তার চরিত্রে দারুণ অভিনয় করেছেন।

কিন্তু গল্পের দুর্বলতার কারণে তার অভিনয়ও যেন কিছুটা ম্লান হয়ে গেছে। অনেকেই বলছেন, টম ক্রুজের আকর্ষণ এখনো আগের মতোই আছে, তবে ছবির দুর্বল চিত্রনাট্য এবং দুর্বল নির্মাণশৈলীর কারণে ছবিটি প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

সব মিলিয়ে, ‘মিশন: ইম্পসিবল’ সিরিজের নতুন এই ছবিটি নিয়ে দর্শকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। কেউ কেউ ছবিটির গল্প এবং অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অভিনয়ের প্রশংসা করছেন, আবার অনেকে মনে করছেন, আগের ছবিগুলোর তুলনায় এটি দুর্বল।

এখন দেখার বিষয়, এই সিরিজের ভবিষ্যৎ কেমন হয়।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *