মিশন ইম্পসিবল: অভিনেতার প্রত্যাবর্তনে তোলপাড়!

মিশন ইম্পসিবল: হলিউডের জনপ্রিয় এই সিনেমা সিরিজের নতুন কিস্তি ‘মিশন: ইম্পসিবল – ডেড রেকনিং পার্ট ওয়ান’ মুক্তি পাওয়ার পর সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে উন্মাদনা সৃষ্টি হয়েছে। এই সিরিজের অষ্টম সিনেমাতে প্রায় ৩০ বছর পর ফিরে এসেছেন প্রবীণ অভিনেতা রল্ফ স্যাক্সন।

নব্বইয়ের দশকে মুক্তি পাওয়া প্রথম ‘মিশন: ইম্পসিবল’ ছবিতে উইলিয়াম ডনলো চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। এবারও তিনি একই চরিত্রে ফিরে এসেছেন, যা দর্শকদের মনে আনন্দের ঢেউ তুলেছে।

ছবিতে টম ক্রুজের ইথান হান্টের সঙ্গে তার চরিত্রের সাক্ষাৎ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা ঘটেনি।

রল্ফ স্যাক্সন জানিয়েছেন, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে তিনি একটি ফোন কল পান, যেখানে তাকে একটি ইউরোপীয় চলচ্চিত্র কোম্পানির কাজের প্রস্তাব দেওয়া হয়। পরে জানা যায়, প্রস্তাবটি আসলে ছিল টম ক্রুজ এবং পরিচালক ক্রিস্টোফার ম্যাককোয়ারির ‘মিশন: ইম্পসিবল’ সিরিজের জন্য।

প্রায় ৩০ বছর আগে প্রথম ছবিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে স্যাক্সন জানান, টম ক্রুজের সঙ্গে তার দারুণ সম্পর্ক ছিল। নতুন ছবিতে কাজ করার সময়ও তিনি একই রকম সহযোগিতা পেয়েছেন। সেটে ক্রুজের সঙ্গে কাজ করাটা ছিল খুবই আনন্দের।

নতুন ছবিতে ইথান হান্টের দল রাশিয়ান সাবমেরিনের সন্ধান করতে বের হয় এবং এই সময় তারা বেরিং সাগরের সেন্ট ম্যাথিউ দ্বীপে স্যাক্সনের চরিত্র ডনলোর সঙ্গে মিলিত হয়। ছবিতে দেখা যায়, ডনলোকে সিআইএ (সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি) নির্বাসিত করে এই দ্বীপে পাঠায়।

শুধু রল্ফ স্যাক্সনই নন, মূল ‘মিশন: ইম্পসিবল’ ছবির অভিনেতা হেনরি সেরনিও নতুন ছবিতে ফিরে এসেছেন। ছবিতে তিনি সিআইএ ডিরেক্টরের চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

টম ক্রুজ সব সময় তার পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে কাজ করতে পছন্দ করেন। তিনি বলেন, “আমি সবসময়ই যাদের সঙ্গে কাজ করি, তাদের সঙ্গে দারুণ অভিজ্ঞতা হয়। গল্পের প্রয়োজনে তাদের ফিরিয়ে আনা হয়।”

‘মিশন: ইম্পসিবল – ডেড রেকনিং পার্ট ওয়ান’ বর্তমানে প্রেক্ষাগৃহে চলছে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *