টম ক্রুজের সাথে মিশন ইম্পসিবল: অজানা সব গল্প!

টম ক্রুজের সঙ্গে ‘মিশন: ইম্পসিবল’ ছবিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা: সহ-অভিনেতাদের চোখে

হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা টম ক্রুজ, যিনি একই সঙ্গে একজন প্রযোজকও বটে। তার সিনেমা মানেই অ্যাকশন আর স্টান্টের এক দারুণ মিশ্রণ। পর্দায় তার অভিনয় যেমন দর্শকদের মুগ্ধ করে, তেমনি তার ব্যক্তিজীবন নিয়েও মানুষের আগ্রহের শেষ নেই।

সম্প্রতি মুক্তি পেতে চলেছে ‘মিশন: ইম্পসিবল’ সিরিজের নতুন ছবি ‘দ্য ফাইনাল রেকনিং’। এই ছবিতে টম ক্রুজের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুলেছেন ছবির কলাকুশলীরা।

তাদের চোখে টম ক্রুজ কেমন, সেটাই তুলে ধরা হলো।

অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলা বাসেট, যিনি ২০১৮ সালের ‘ফলআউট’ ছবিতে প্রথম ‘এrika Sloane’ চরিত্রে অভিনয় করেন, জানিয়েছেন, প্রতিদিন সকালে মেকআপ রুমে বসে টমের কাজের জন্য আসার শব্দ শোনার জন্য মুখিয়ে থাকতেন তিনি।

তার কথায়, “আমি যখন হেলিকপ্টারের শব্দ শুনতাম, আমার মুখে হাসি চলে আসত। এটা সত্যিই অন্যরকম ছিল।”

এই সিরিজে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন এমন অনেকের সঙ্গেই টমের বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে। অভিনেতা ভিং রেহেমস, যিনি এই সিরিজের আটটি ছবিতেই ‘লুথার স্টিকল’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন, তিনি জানান, “টমের সঙ্গে আমাদের খুব ভালো বন্ধুত্ব। আমাদের মধ্যে দারুণ একটা রসায়ন রয়েছে।”

এই সিরিজে বেনজি ডান চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেতা সাইমন পেগ ২০০৬ সাল থেকে এই সিরিজের সঙ্গে যুক্ত। তিনি জানান, প্রথম দিন যখন তিনি টম ক্রুজ এবং ভিং রেহেমসের সঙ্গে দেখা করেন, তখন তাদের ব্যবহার সত্যিই খুব ভালো ছিল।

তারা তাকে আপন করে নিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, সাইমন পেগ একবার যখন আল্পস-এ স্কিইং করতে গিয়েছিলেন, তখন টম ক্রুজ একটি বেকারি থেকে তার জন্মদিনের কেক তৈরি করিয়ে সেখানে পাঠিয়েছিলেন।

এই ছবিতে গ্রেসের চরিত্রে অভিনয় করা হেইলি অ্যাটওয়েল মনে করেন, সিনেমার কাজে মজা করাটা খুব জরুরি। তিনি বলেন, “যখন এত বড় একটা সিনেমা তৈরি হয়, তখন সেখানে কিছুটা আনন্দের উপাদান থাকা দরকার।”

এই ছবির পরিচালক এবং চিত্রনাট্যকার ক্রিস্টোফার ম্যাককোয়ারি এবং টম ক্রুজের কাজের ধরন নিয়ে অনেকেই তাদের অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন। তাদের মধ্যে বোঝাপড়াটা এতটাই ভালো যে, অনেক সময় চিত্রনাট্যে পরিবর্তন আসে দৃশ্য চলাকালীন সময়েই।

কাজের প্রতি টম ক্রুজের ভালোবাসা এবং একাগ্রতা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অনেকেই তার উচ্ছ্বাসের প্রশংসা করেছেন। অ্যাঞ্জেলা বাসেট বলেন, “টম সবসময় চান, সবাই ভালো কাজ করুক।

তিনি সবার কাছ থেকে সেরাটা বের করে আনতে চান। তার মতো এমন ডেডিকেটেড মানুষের সঙ্গে কাজ করাটা আনন্দের।”

‘মিশন: ইম্পসিবল – দ্য ফাইনাল রেকনিং’ মুক্তি পেতে যাচ্ছে ২৩শে মে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *