ফেডারেল আদালত মিসিসিপির একটি নতুন আইনকে কার্যকর করার অনুমতি দিয়েছে, যেখানে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীদের বয়স যাচাই করতে হবে। এই আইনটি মূলত তরুণদের অনলাইনে হয়রানি, যৌন নিপীড়ন এবং অন্যান্য ক্ষতিকর বিষয় থেকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে প্রণীত হয়েছে।
তবে, প্রযুক্তি শিল্পের একটি সংগঠন, ‘নেটচয়েস’, এই আইনের বিরুদ্ধে আপিল করার ঘোষণা দিয়েছে। তাদের মতে, এটি ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে।
মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল লিন ফিচ আদালতের শুনানিতে জানিয়েছেন, এই ধরনের বয়স যাচাই ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে শিশুদের অনলাইনে যৌন ব্যবসা, নির্যাতন, পর্নোগ্রাফি, হয়রানি, আত্মহত্যায় প্ররোচনা এবং অন্যান্য ক্ষতিকর কার্যকলাপ থেকে বাঁচানো যেতে পারে।
অভিভাবকদের উদ্বেগের কারণ হলো, সামাজিক মাধ্যমের ব্যাপক ব্যবহারের ফলে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উদ্বেগ ও হতাশা বাড়ছে।
অন্যদিকে, ‘নেটচয়েস’ নামক প্রযুক্তি বিষয়ক সংস্থাটি, যা গুগল, ফেসবুক, স্ন্যাপচ্যাটের মতো বৃহৎ প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে, এই আইনের বিরোধিতা করছে। তাদের আইনজীবীরা বলছেন, এই আইন ব্যবহারকারীর গোপনীয়তার অধিকারকে খর্ব করে এবং সকল বয়সের মানুষের বাকস্বাধীনতা সীমিত করে।
তারা আরও উল্লেখ করেন, অভিভাবকদেরই ঠিক করতে হবে তাদের পরিবারের জন্য কী সঠিক।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে, বিশেষ করে আরকানসাস, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, ওহাইও এবং ইউটাহ-তে, একই ধরনের আইন নিয়ে আইনি লড়াই চলছে। ‘নেটচয়েস’-এর লিটিগেশন সেন্টারের সহ-পরিচালক পল টাস্ক এক বিবৃতিতে বলেছেন, মিসিসিপির আইন কার্যকর করার সিদ্ধান্তে তারা ‘গভীরভাবে হতাশ’ এবং তারা তাদের আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য অন্যান্য বিকল্প বিবেচনা করছেন।
বর্তমানে, সারা বিশ্বেই সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহার বাড়ছে, এবং এর প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের ওপর এর প্রভাব নিয়ে।
বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম নয়। তাই, মিসিসিপির এই আইনের প্রেক্ষাপটে, সামাজিক মাধ্যমে শিশুদের সুরক্ষা এবং ব্যক্তিগত অধিকারের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস
 
                         
                         
                         
                         
                         
                         
				
			 
				
			 
				
			 
				
			