যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এমআইটি), তাদের ‘বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তি’ বিষয়ক (ডিইআই) দপ্তর বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এই ধরনের কর্মসূচিগুলোর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায়, অনেক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখন তাদের ডিইআই প্রোগ্রামগুলো গুটিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে।
এই সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে জানা যায়, ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডিইআই কর্মসূচি চালু রাখা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য ফেডারেল তহবিল বন্ধ করার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
এর ফলে ক্যান্সার ও মাতৃস্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা খাতে বরাদ্দ পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।
এমআইটি কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা বৈচিত্র্যের নীতি থেকে সরে আসছে না, বরং বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে স্থানীয়ভাবে কমিউনিটি গঠনের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে।
এমআইটির প্রেসিডেন্ট স্যালি কোর্নব্লুথ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “আমরা মেধাবী শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে চাই, যারা বিভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসবে এবং এমআইটিতে সবাই স্বাগত বোধ করবে।
বর্তমানে, এমআইটি’র এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা জগতে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
গত মার্চ মাসে, দেশটির শিক্ষা বিভাগের সিভিল রাইটস অফিস এমআইটি’র বিরুদ্ধে তাদের স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে ‘জাতিগত বৈষম্যমূলক চর্চা’র অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে।
শুধু এমআইটি নয়, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো অন্যান্য নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও একই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডের ফেডারেল চুক্তি বাতিল করার পদক্ষেপ নিয়েছে, যার পরিমাণ প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার।
এছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রায় ২.২ বিলিয়ন ডলারের অনুদান আটকে দেওয়া হয়েছে।
হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, সরকারের নীতির কারণে তাদের এই ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
ডিইআই আসলে কী?
এটি হলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ডের শিক্ষার্থীদের জন্য সমান সুযোগ তৈরি করা, যাতে সবাই নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে পারে।
বর্তমানে, যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই এই ধরনের কর্মসূচি চালু রয়েছে, তবে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির কারণে সেগুলোর ভবিষ্যৎ এখন হুমকির মুখে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন