বিখ্যাত শিশু সাহিত্যিক মো উইলিয়ামস-এর নতুন বই, “উইল দ্য পিজন গ্র্যাজুয়েট?”-এর মাধ্যমে ভবিষ্যতের উদ্বেগের ছবি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এই বইটিতে জীবনের নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করার সময় মানুষের মনে যে দ্বিধা ও অনিশ্চয়তা দেখা দেয়, সেই বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।
বইটির প্রধান চরিত্র হলো একটি পায়রা, যে গ্র্যাজুয়েশন বা স্নাতক হওয়ার ধারণা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত।
“ডোন্ট লেট দ্য পিজন ড্রাইভ দ্য বাস!” এবং “নাফেল বানি”-র মতো জনপ্রিয় বইয়ের লেখক উইলিয়ামস, তার নতুন বইটিতে গ্র্যাজুয়েশনকে একটি রূপক হিসেবে ব্যবহার করেছেন। তিনি দেখিয়েছেন, কীভাবে এই সময়ে সবাই, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ভবিষ্যৎ নিয়ে এক ধরনের দুশ্চিন্তা কাজ করে।
তিনি মনে করেন, এই বই শুধু গ্র্যাজুয়েটদের জন্য নয়, বরং জীবনের বিভিন্ন পরিবর্তনের সময় যে মানসিক দোলাচল তৈরি হয়, সে সম্পর্কে ধারণা পেতে এটি সহায়ক।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে উইলিয়ামস এবং তার প্রিয় চরিত্র পায়রার সাথে কথা হয়। পায়রা চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন ব্র্যাডলি ফ্রিম্যান জুনিয়র। সাক্ষাৎকারে তারা গ্র্যাজুয়েশন, জীবনের উদ্দেশ্য এবং “সিসিম স্ট্রিট”-এর মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
উইলিয়ামস জানান, জীবনের কঠিন প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার চেয়ে প্রশ্ন করতে শেখানোটা জরুরি।
উইলিয়ামস বলেন, “আমি যখন বয়স বাড়ছি, জীবনের নতুন একটি পর্যায়ে প্রবেশ করছি। আমি ভাবছি, এই জীবনের জন্য আমি প্রস্তুত তো? এই প্রশ্নটা যখন করি, তখন উত্তর পাই না। আর তখনই মনে হয়, ছোট শিশুরা যে পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যায়, সেটার সঙ্গে এর মিল আছে। গ্র্যাজুয়েশন তেমনই একটা বিষয়।”
পায়রা চরিত্রটি এই বইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সে তার স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে জীবনের গভীর প্রশ্নগুলোর অবতারণা করে। যেমন – “আমি কি বাস চালাতে পারব?”, “জীবনটা আসলে কী?” ইত্যাদি।
উইলিয়ামস “সিসিম স্ট্রিট”-এ নয় বছর কাজ করেছেন এবং এর জন্য ছয়টি এমি পুরস্কারও জিতেছেন। তিনি জানান, “সিসিম স্ট্রিট”-এর কাজ তাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে, যা তার বই লেখার ক্ষেত্রেও সহায়ক হয়েছে।
উইলিয়ামস মনে করেন, বইয়ের আসল সৌন্দর্য পাঠকের অনুভূতির মধ্যে। তিনি বলেন, “আমি বইয়ের বিষয়বস্তু তৈরিতে সাহায্য করি, তবে এর গভীরতা আসে পাঠকের কাছ থেকে।”
নতুন এই বইটি বর্তমান সময়ে তরুণ প্রজন্মের দ্বিধা, উদ্বেগ ও ভবিষ্যতের প্রতি তাদের আকাঙ্ক্ষাগুলোকে তুলে ধরেছে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস