টম হার্ডির নতুন সিরিজ ‘মবল্যান্ড’ : নব্বইয়ের নস্টালজিয়া নাকি দুর্বল চিত্রনাট্য?
বহু প্রতীক্ষার পর মুক্তি পেতে চলেছে টম হার্ডি অভিনীত নতুন সিরিজ ‘মবল্যান্ড’। জনপ্রিয় স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম প্যারামাউন্ট প্লাস-এ এই সিরিজটি মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
ব্রিটিশ গ্যাংস্টার ঘরানার এই সিরিজে টম হার্ডিকে দেখা যাবে একজন ‘ফিক্সার’-এর চরিত্রে, যিনি দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যাংয়ের মধ্যে শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করেন। দর্শক মহলে ইতিমধ্যেই এই সিরিজটি নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে, তবে মুক্তির আগে এর নির্মাণশৈলী নিয়ে কিছু সমালোচনাও শোনা যাচ্ছে।
সিরিজটির পরিচালক গাই রিচি, যিনি নব্বইয়ের দশকে তাঁর নির্মাণশৈলীর জন্য খ্যাতি লাভ করেছিলেন। ‘মবল্যান্ড’-এর গল্প বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে তৈরি হলেও, সমালোচকদের মতে, এর নির্মাণে নব্বই দশকের নস্টালজিয়ার ছোঁয়া রয়েছে।
সিরিজের চরিত্রগুলো এমনভাবে কথা বলে যেন তারা যেন ‘পার্কলাইফ’ গানের সঙ্গে করাওকে পরিবেশন করছে। এমনকি সিরিজের একটি দৃশ্যে একটি বারে শুধুমাত্র ১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া ‘প্রডিজি’ ব্যান্ডের অ্যালবাম ‘দ্য ফ্যাট অফ দ্য ল্যান্ড’-এর গান বাজতে শোনা যায়।
সিরিজটিতে টম হার্ডির সঙ্গে অভিনয় করেছেন পিয়ার্স ব্রসন্যান, যিনি একসময় জেমস বন্ডের চরিত্রে অভিনয় করে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি লাভ করেছেন। এছাড়াও রয়েছেন প্যাডি কনসিডাইন এবং হেলেন মিররেন-এর মতো গুণী অভিনেতা-অভিনেত্রী।
সিরিজের গল্প অনুযায়ী, হার্ডিকে দুটি গ্যাংয়ের মধ্যে শান্তি বজায় রাখতে হয়, যাদের মধ্যে একটি গ্যাংয়ের প্রধান চরিত্রে রয়েছেন ব্রসন্যান এবং কনসিডাইন। হার্ডির চরিত্রটি একদিকে যেমন ক্লান্ত, তেমনই দ্বিধাগ্রস্ত। সমালোচকদের মতে, হার্ডির মতো অভিনেতার অভিনয় ক্ষমতাকে এখানে যথাযথভাবে ব্যবহার করা হয়নি।
পর্যালোচকদের একাংশ মনে করেন, সিরিজের দুর্বল চিত্রনাট্যের কারণে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অভিনয় ক্ষমতা পরিপূর্ণভাবে ফুটে ওঠেনি। বিশেষ করে, ব্রসন্যান এবং মিররেনের আইরিশ অ্যাকসেন্ট নিয়ে অনেকে সমালোচনা করেছেন।
তাঁদের মতে, অভিনেতাদের এই ধরনের চরিত্রে নির্বাচন করা হলেও, চরিত্রগুলোর গভীরতা ফুটিয়ে তোলার ক্ষেত্রে নির্মাতারা হয়তো ব্যর্থ হয়েছেন।
তবে, সিরিজের কিছু দিক প্রশংসিতও হয়েছে। হার্ডির স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কিছু দৃশ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক এবং মনোমালিন্যের সূক্ষ্ম দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে, যা দর্শকদের আকৃষ্ট করতে পারে।
সব মিলিয়ে, ‘মবল্যান্ড’ দর্শকদের কতটা মন জয় করতে পারবে, তা মুক্তির পরেই বোঝা যাবে।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান