ফুটবল বিশ্বে মোহাম্মদ সালাহ একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। মাঠের খেলায় তার অসাধারণ দক্ষতা যেমন মুগ্ধ করে, তেমনি মাঠের বাইরেও তিনি একজন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব।
লিভারপুলে তিনি শুধু একজন ফুটবলার নন, বরং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সেতুবন্ধনকারী হিসেবেও পরিচিত। তার উপস্থিতি শহরটির মানুষের মধ্যে এক গভীর ভালোবাসার জন্ম দিয়েছে।
মিশরের এই তারকা ফুটবলারের খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে উপচে পড়ে ভিড়। গোল করার পর তার উদযাপন করার ভঙ্গি, কিংবা সতীর্থদের সাথে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক – সবকিছুই যেন দর্শকদের হৃদয়ে গেঁথে আছে।
লিভারপুলের মানুষের কাছে তিনি একজন “কিং” – ভালোবাসার আরেক নাম।
সালাহ’র সাফল্যের পেছনে রয়েছে কঠোর পরিশ্রম আর একাগ্রতা। তিনি প্রমাণ করেছেন, কঠোর অনুশীলন এবং নিজের প্রতি অবিচল আস্থা থাকলে সাফল্যের শিখরে পৌঁছানো সম্ভব।
তার খেলা দেখে অনেক মুসলিম তরুণ অনুপ্রাণিত হয়, যারা নিজেদের স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে যেতে চায়। সালাহ তাদের কাছে শুধু একজন খেলোয়াড় নন, তিনি তাদের কাছে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
লিভারপুলের ‘আল-রাহমা’ মসজিদটি শুধু একটি ধর্মীয় স্থান নয়, এটি একটি কমিউনিটি সেন্টারও বটে। এখানে বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালিত হয় এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
সালাহ-এর মতো একজন মুসলিম তারকার উপস্থিতি, এই শহরের মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, তিনি তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সমাজে তাদের একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি করতে সহায়ক হয়েছেন।
সালাহ’র এই সাফল্যের পেছনে লিভারপুলের মানুষের ভালোবাসাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। সেখানকার মানুষের উষ্ণ আতিথেয়তা এবং সংস্কৃতি তাকে আপন করে নিয়েছে।
তিনি নিজেও লিভারপুলকে ভালোবাসেন এবং এখানকার মানুষের সাথে মিশে গিয়েছেন। এই সম্পর্কটা শুধুমাত্র মাঠের খেলায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি গভীর ভালোবাসার একটি বন্ধন।
সালাহ’র এই সাফল্যের গল্প আমাদের অনেক কিছুই শেখায়। তিনি প্রমাণ করেছেন, খেলাধুলা শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং এটি সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে একত্রিত করতে পারে।
একজন খেলোয়াড় কিভাবে সমাজের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে, সালাহ তার উজ্জ্বল উদাহরণ।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অবলম্বনে।