শিরোনাম: চুলের সেলুনে যাওয়া এক নারীর জীবন বাঁচালো, সূর্যের তেজ থেকে সাবধান থাকার পরামর্শ
ত্বকের ক্যান্সার, যা মানুষের জীবন কেড়ে নিতে পারে, তা থেকে বাঁচতে হলে প্রয়োজন সচেতনতা। সম্প্রতি, যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা ৩৫ বছর বয়সী মিশেলা পিকক-এর জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে, কারণ তার চুলের একজন কর্মী তার মাথার ত্বকে হওয়া একটি পরিবর্তন নজরে এনেছিলেন।
এই ঘটনার মাধ্যমে সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব এবং ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতন হওয়ার প্রয়োজনীয়তা আরও একবার প্রমাণিত হয়েছে।
মিশেলা জানান, তিনি কয়েক মাস আগে মাথার তালুতে একটি ফোলা অনুভব করেন। প্রথমে বিষয়টি তেমন গুরুত্ব দেননি, ভেবেছিলেন হয়তো কোনো সাধারণ ফুসকুড়ি।
কিন্তু তার এক বন্ধু তাকে বিষয়টি ভালোভাবে পরীক্ষা করতে বলেন। এরপর তিনি তার পরিচিত হেয়ার স্টাইলিস্টকে বিষয়টি দেখালে তিনি জানান যে ফোলাটি আগের চেয়ে বড় দেখাচ্ছে।
এরপরই তিনি দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেন।
ডাক্তাররা পরীক্ষা করে জানান, এটি মেলানোমা, যা এক প্রকার মারাত্মক ত্বকের ক্যান্সার। তাৎক্ষণিকভাবে অস্ত্রোপচার করে ফোলাটি অপসারণ করা হয়।
মিশেলার ভাষায়, “ক্যান্সার শব্দটি শুনলেই মনে হয় বুঝি জীবন শেষ হয়ে গেল।” তিনি আরও জানান, ছোটবেলায় তিনি সানস্ক্রিন ব্যবহার করতেন না, কারণ তার ভালো লাগত না।
ত্বক ফর্সা হওয়ায় সামান্য রোদেই তার চামড়া পুড়ে যেত। বর্তমানে তিনি সবসময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন এবং রোদ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে চলেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মেলানোমা বা ত্বকের ক্যান্সার একটি মারাত্মক রোগ। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি এর প্রধান কারণ।
তাই, রোদ এড়িয়ে চলা, সানস্ক্রিন ব্যবহার করা এবং শরীরের কোথাও কোনো পরিবর্তন দেখলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আমাদের দেশেও গরমকালে সূর্যের তেজ অনেক বেশি থাকে। তাই সবারই এ বিষয়ে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
মিশেলার এই অভিজ্ঞতা আমাদের সবার জন্য একটি সতর্কবার্তা।
ত্বকের ক্যান্সার থেকে বাঁচতে হলে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো এবং সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে নিজেকে বাঁচানো প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব।
তথ্য সূত্র: পিপল