মন্টি পাইথন অ্যান্ড দ্য হোলি গ্রেইল: হাস্যরসের এক অবিস্মরণীয় উদযাপন
আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে, রুপালি পর্দায় মুক্তি পেয়েছিল ‘মন্টি পাইথন অ্যান্ড দ্য হোলি গ্রেইল’। ব্রিটেনের কমেডি জগতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচনকারী এই চলচ্চিত্রটি আজও তার হাস্যরস এবং ব্যাঙ্গাত্মক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত।
কিংবদন্তি কমেডি দল ‘মন্টি পাইথন’-এর সৃষ্টিশীলতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এই সিনেমাটি।
আর্থারীয় কিংবদন্তিকে কেন্দ্র করে তৈরি এই সিনেমা, রাজার চরিত্র এবং তার নাইটদের হাস্যকর কার্যকলাপের মাধ্যমে দর্শকদের হাসতে হাসতে দম বন্ধ হওয়ার জোগাড় করে। সিনেমার মূল আকর্ষণ হলো এর তীক্ষ্ণ ব্যঙ্গাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি।
মধ্যযুগের বীরত্বপূর্ণ কাহিনিগুলিকে হাস্যরসের মোড়কে পরিবেশন করে, এটি সমাজের বিভিন্ন দিক নিয়ে প্রশ্ন তোলে। ঘোড়ার বদলে নারকেলের শব্দ ব্যবহার থেকে শুরু করে, অপ্রত্যাশিত দৃশ্যের অবতারণা—সবকিছুই এই সিনেমার বৈশিষ্ট্য।
‘মন্টি পাইথন’-এর সদস্যরা, যেমন গ্রাহাম চ্যাপম্যান, টেরি গিলিয়াম, এবং টেরি জোন্স, এই সিনেমার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। তাঁদের মিলিত প্রচেষ্টায় তৈরি এই সিনেমাটি কেবল একটি চলচ্চিত্র নয়, বরং একটি সাংস্কৃতিক ঘটনা।
ব্রিটিশ কমেডির ইতিহাসে এর স্থান সুপ্রতিষ্ঠিত।
যদিও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মন্টি পাইথন হয়তো অনেকের কাছে পরিচিত নয়, তবে এর হাস্যরসের ধারণাগুলো সর্বজনীন। মানুষের জীবনের নানা দিক নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি, সমাজের ত্রুটি-বিচ্যুতি নিয়ে হাসি-ঠাট্টা—এগুলো যেকোনো সংস্কৃতিতেই প্রাসঙ্গিক।
সিনেমাটি মুক্তির পঞ্চাশ বছর পরেও, এর জনপ্রিয়তা এতটুকুও কমেনি। বিভিন্ন প্রজন্মের দর্শক এখনো এটি উপভোগ করেন এবং এর সংলাপগুলো প্রায়ই ব্যবহার করেন।
‘মন্টি পাইথন অ্যান্ড দ্য হোলি গ্রেইল’ শুধু একটি সিনেমা নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার, যা হাস্যরসের মাধ্যমে মানুষকে হাসায় এবং একই সঙ্গে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান