যুক্তরাষ্ট্রে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা, যেখানে এক অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া পরিচালক ডেভিড স্কন্স-এর ঘৃণ্য কীর্তি উন্মোচিত হতে চলেছে। এইচবিও’র আসন্ন প্রামাণ্যচিত্র ‘দ্য মর্টিশিয়ান’-এ তুলে ধরা হবে কিভাবে ডেভিড স্কন্স, যিনি ক্যালিফোর্নিয়ার প্যাসাডেনাতে ল্যাম্ব ফিউনারেল হোম চালাতেন, মৃতদেহের সঙ্গে চরম অমানবিক আচরণ করেছেন।
১৯৮৯ সালে ডেভিড স্কন্স-কে মৃতদেহ বিকৃত করা, কম মূল্যে গণহারে শবদাহ করা এবং প্রতিদ্বন্দ্বী অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া পরিচালকদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এই অপরাধের জন্য তিনি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড পান।
যদিও তিনি দুই বছর পর মুক্তি পান, ২০১৩ সালে প্যারোলের শর্ত ভঙ্গের কারণে তাকে আবার ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অবশেষে ২০২৩ সালে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।
প্রামাণ্যচিত্রের ট্রেলারে দেখা যায়, স্কন্স-এর নির্লিপ্ত মনোভাব। তিনি বলছেন, “মারা যাওয়ার পর আমি কারো কোনো মূল্য দিই না। আমারও যখন মৃত্যু হবে, তখন যেন কেউ আমাকেও মূল্য না দেয়।
ভালোবাসতে হয়, যখন তারা বেঁচে থাকে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ল্যাম্ব ফিউনারেল হোমের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ আসে এক স্থানীয় ব্যবসায়ীর কাছ থেকে, যিনি পোড়া মাংসের গন্ধ পাওয়ার কথা বলেছিলেন। স্কন্স-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি দ্রুত লাভের জন্য মৃতদেহগুলোর সঙ্গে চরম অবমাননাকর আচরণ করতেন।
ট্রেলারে এক ব্যক্তির ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “তারা আমার বাবার সঙ্গে যা করেছে, তা অকল্পনীয়।
স্কন্স-এর এই ধরনের কর্মকাণ্ডে ভুক্তভোগীদের পরিবারে গভীর শোকের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রামাণ্যচিত্রটিতে আরও শোনা যায়, স্কন্স সব সময় হুমকি দিতেন এবং কিভাবে মানুষ মারার ফন্দি আঁটা যায়, সে বিষয়ে কথা বলতেন। এমনকি তাকে সরাসরি কোনো হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলেও, সন্দেহভাজন ব্যক্তি কোনো উত্তর দেননি।
মনে করা হয়, স্কন্স-এর পতনের মূল কারণ ছিল তার সবকিছু নিয়ে বড়াই করার প্রবণতা। তিনি সম্ভবত বুঝতে পারেননি কখন মুখ বন্ধ করতে হয়।
‘দ্য মর্টিশিয়ান’ সেই পরিবারের গল্প বলে, যারা সম্মানের মোড়কে নিজেদের আড়াল করে মৃতের আত্মীয়-স্বজনের দুর্বলতার সুযোগ নিয়েছিল।
পরিচালক জোশুয়া রফে জানান, লস অ্যাঞ্জেলেসের অন্ধকার জগতের গল্প বলতে তিনি ভালোবাসেন। এই প্রামাণ্যচিত্রে তিনি মৃত্যুর ব্যবসা এবং শোকের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নিয়ে একটি গাঢ় গল্প খুঁজে পেয়েছেন।
‘দ্য মর্টিশিয়ান’ আগামী ১লা জুন থেকে প্রতি রবিবার এইচবিও-তে প্রচারিত হবে।
তথ্যসূত্র: পিপল ডটকম