যুক্তরাষ্ট্রের একটি দ্রুত বর্ধনশীল শহর, যেখানে জীবনযাত্রার খরচ তুলনামূলকভাবে অনেক কম। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমনটাই জানা গেছে। ‘গোব্যাংকিংরেটস’ নামক একটি সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী, টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ফ্রিস্কো শহরটি বর্তমানে বসবাসের জন্য সবচেয়ে সাশ্রয়ী এবং দ্রুত বর্ধনশীল শহর হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
ফ্রিস্কোর এই সাফল্যের পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। গত পাঁচ বছরে শহরটির জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় ২৬.৯ শতাংশ। এখানকার বাড়িভাড়া এবং বাড়ির মালিকদের জীবনযাত্রার খরচও বেশ সহনীয়।
সমীক্ষা অনুযায়ী, ফ্রিস্কোতে একজন ভাড়াটিয়ার বছরে প্রায় ৪৬,৭১৮ মার্কিন ডলার খরচ হয়, যা বাংলাদেশি টাকায় (১ ডলার = ১১০ টাকা ধরে) প্রায় ৫১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৮০০ টাকার সমান। অন্যদিকে বাড়ির মালিকদের বছরে প্রায় ৭২,২৬২ মার্কিন ডলার খরচ করতে হয়, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭৯ লক্ষ ৪৯ হাজার ৮২০ টাকার মতো।
ফ্রিস্কো শহরটি ডালাস-ফোর্ট ওয়ার্থ মেট্রো এলাকার একটি অংশ এবং এর বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ ২৫ হাজার। শহরটিতে বসবাসকারীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান।
এখানকার ৬ একরের ক্যালিডোস্কোপ পার্ক, ব্ল্যাক বক্স থিয়েটারে বিভিন্ন অনুষ্ঠান, ন্যাশনাল সকার হল অফ ফেম এবং বিগ ব্লুস্টেম ট্রেইলের মতো স্থানগুলো শহরটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
শুধু ফ্রিস্কোই নয়, টেক্সাসের আরও কয়েকটি শহর দ্রুত বর্ধনশীল এবং জীবনযাত্রার ব্যয়ের দিক থেকেও বেশ সাশ্রয়ী। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অ্যারিজোনার গুডইয়ার শহর।
এছাড়া, ম্যাককিনি (টেক্সাস), ফিশারস (ইন্ডিয়ানা) এবং অ্যালেন (টেক্সাস)-এর মতো শহরগুলোও এই তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে। গোব্যাংকিংরেটসের সমীক্ষায় শীর্ষ ৫০টি শহরের মধ্যে টেক্সাসের ১২টি শহর স্থান করে নিয়েছে।
ফ্রিস্কোর এই সাফল্য বাংলাদেশের শহরগুলোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হতে পারে। বিশেষ করে, শহর পরিকল্পনাকারী এবং নীতিনির্ধারকদের জন্য এটি শিক্ষণীয় হতে পারে।
ফ্রিস্কোর এই মডেল অনুসরণ করে বাংলাদেশের শহরগুলোতেও কিভাবে জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা যায়, সে বিষয়ে নতুন করে ভাবা যেতে পারে। যদিও জীবনযাত্রার খরচ এবং সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে, তবুও ফ্রিস্কোর অভিজ্ঞতা আমাদের জন্য মূল্যবান হতে পারে।
তবে, পাঠকদের মনে রাখতে হবে, এই প্রতিবেদনটি মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাপটে তৈরি করা হয়েছে। তাই, এখানকার তথ্য বিশ্লেষণ করার সময় বাংলাদেশের স্থানীয় পরিস্থিতি ও অর্থনৈতিক বিষয়গুলো বিবেচনা করা প্রয়োজন।
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লিজার