নবজাতকের প্রথম স্নান নিয়ে শাশুড়ির আবদার, নতুন মায়ের আপত্তি।
সম্প্রতি এক নারী তাঁর সদ্যোজাত কন্যার প্রথম স্নান নিয়ে শাশুড়ির একটি উদ্ভট প্রস্তাবের সম্মুখীন হয়েছেন। ঐতিহ্য ভালোবাসেন এমন শাশুড়ি নাকি এই উপলক্ষে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে চেয়েছিলেন, যেখানে তেল, ফুল এবং পরিবারের সকলের আশীর্বাদ-সহকারে শিশুর প্রথম স্নান সম্পন্ন করার পরিকল্পনা ছিল।
ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন ওই নারী জানতে পারেন তাঁর শাশুড়ি একটি “প্রথম স্নান” অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে চান। যদিও মা হওয়ার পর তিনি এমনিতেই শারীরিক এবং মানসিক দিক থেকে বেশ দুর্বল ছিলেন, তাই এই ধরনের কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার মতো অবস্থায় ছিলেন না। তিনি জানান, বাচ্চার স্নান এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং এই ধরনের কোনো অনুষ্ঠানের তাঁর কোনো আগ্রহ নেই।
কিন্তু শাশুড়ির প্রত্যাশা ছিল ভিন্ন। তিনি নাকি এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের কারণে “সংস্কৃতির অবমাননা” এবং “আধ্যাত্মিকভাবে প্রতিকূল” হিসেবে নিজেকে অনুভব করছেন বলে মন্তব্য করেছেন। এমনকি তিনি নাকি অন্যদের কাছেও বিষয়টিকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করছেন। স্বামীর কাছে বিষয়টি হাস্যকর মনে হলেও তিনি পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য “প্রতীকী” ভাবে অনুষ্ঠানটি করার কথা ভেবে দেখতে বলেছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। অনেকে মনে করছেন, শাশুড়ির এই ধরনের আবদার আসলে নিজের গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টা। আবার অনেকে মনে করছেন, বর্তমান যুগে যেখানে মায়েদের একাই অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয়, সেখানে এই ধরনের চাপ তৈরি করাটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।
পরিবারে প্রবীণদের সম্মান জানানো জরুরি, তবে নতুন মায়েদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারও থাকা উচিত। এই ঘটনায় বাংলাদেশের অনেক পরিবারের চিরাচরিত পারিবারিক সম্পর্কের চিত্র ফুটে উঠেছে, যেখানে একদিকে যেমন ঐতিহ্য রক্ষার প্রবণতা দেখা যায়, তেমনই আধুনিকতার ছোঁয়াও লাগে।
তথ্যসূত্র: পিপল